নুর উদ্দিন সুমন ঃ- হবিগঞ্জের চুনারুঘাট সরকারি নিয়ম-নীতি ও প্রচলিত বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলি জমির উপর ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে ইটভাটা। আর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। যার ফলে উজার হচ্ছে গ্রামসহ বিভিন্ন বনাঞ্চলের বৃক্ষ।ভাটার চারপাশে রয়েছে আবাদি ফসল ও অসংখ্য ঘরবাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসসহ সাস্থ্যকমপ্লেক্স। সরকারি নীতিমালায় রয়েছে, আবাদি জমি ও বসতবাড়ি থেকে এক কি. মি. পর হতে হবে ইটভাটার অবস্থান। কিন্তু সে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বেআইনিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ভাটাগুলো। স্থানীয়রা অনেকেই জানান, ইটেরভাটা নির্মাণের ফলে তাদের ফসলি জমি, বনজ ও ফলদ বাগান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ভাটার পাশ্ববর্তী জমিতে প্রচন্ড উত্তাপের কারণে আগের মতো ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। ফলের গাছ ও ফসলি জমিগুলোতে এখন আর আগের মত ফসল হয় না। ফলে খাদ্য সংকটে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। বুধবার ১৩ফেব্রুয়ারি দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন ইকবাল ২টি ইটভাটাকে জরিমানা করেন। এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন না থাকায় ব্রিক ফিল্ড কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত ব্রিক ফিল্ড বন্ধ করতে নির্দেশ প্রদান করেন। জানা যায়, উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের কালাপুর এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ ২টি ইট ভাটার মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা প্রদানকৃত ইট ভাটা দুইটি হল-দি সান বিকস কে ১ লাখ ও মিতালী বিকস কে ১ লাখ টাকা করে ২ লাখ জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈন উদ্দিন ইকবাল বলেন ,জ্বালানী কাঠ পোড়ানো, ইট পোড়ানো লাইসেন্স ও পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে ইটভাটা পরিচালনার কারনে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। উপজেলার যত অবৈধ ইটভাটা আছে সবগুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হবে। অবৈধভাবে কেউ কোন ইটভাটা চালাতে পারবে না। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
Leave a Reply