মোশারফ হোসেন লিটন সুনামগঞ্জ : বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধোপাজান-চলতি নদীর তীরে থাবা বসিয়েছে বালুখেকোচক্র। তারা নদীর তীর কেটে বালু-পাথর উত্তোলন করছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো। স্থানীয়রা প্রভাবশালী বালুখেকোদের আগ্রাসন বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সরেজমিনে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ধোপাজান চলতি নদীর পশ্চিম তীরে গিয়ে দেখা যায় হাজী আব্দুস সামাদ মড়লের আবাদী জমি থেকে ভোরবেলা অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু-পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে বালু উত্তোলনে নিয়োজিতরা যে যার মতো গা ঢাকা দিতে শুরু করেন। জমির মালিক হাজী আব্দুস সামাদ মড়লের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার আবাদি জমিসহ ধোপাজান-চলতি নদীর তীর কেটে প্রতিদিন বালু-পাথর উত্তোলন করছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। প্রতি ভোররাত থেকে তাদের তাণ্ডব শুরু হয়। ১০ থেকে ১২ টি ড্রেজার মেশিন বালু-পাথর উত্তোলনে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা করম আলী বলেন, ধোপাজান-চলতি নদীতে আমার কোন বডি কিংবা ড্রেজার মেশিন নেই। আমার রেকর্ডিয় ভূমি থেকে আমাকে না বলে প্রতিদিন ভোরে পাথর উত্তোলন করায় আমার একটি টিন শেডঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। আমি ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। ইউপি সদস্য আবু তাহের বলেন, নদীতে যারা অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করছে তাদেরকে ছাড় দেয়া ঠিক হবে না। এ ব্যাপারে সলুকাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী তপন বলেন, যারা অবৈধভাবে নদী থেকে পাথর উত্তোলন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে হুমকির মুখে ফেলছেন তাদের বিরুদ্ধে বেশি বেশি করে রিপোর্ট করুন। বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুরঞ্জিত তালুকদার জানান, ধোপাজান নদীতে কেউ যাতে বালু-পাথর উত্তোলন না করতে পারে সে জন্য পুলিশ প্রতিনিয়ত ডিউটি করছে।
Leave a Reply