নুর উদ্দিন সুমন : জেলার চুনারুঘাট একটি পাহাড়ি এলাকা। এখানে ছড়ার অভাব নেই। কিন্তু এখান থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বিভিন্ন পাহাড়ি টিলায় ধস বাড়ছে। এতে যেমন বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশে তেমনি জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, এক শ্রেণির অসাধু লোক জেলার পাহাড়ি এলাকার মাধবপুর, চুনারুঘাট, বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ছড়া থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে ছড়ার পাশে থাকা টিলাগুলো ধসে পড়ছে।
বালু উত্তোলনে ছড়াগুলো প্রশস্ত হওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকার রাস্তা-ব্রিজ ও কালভার্টগুলোয় বিরূপ প্রভাব পড়ছে। অনেক স্থানে ব্রিজের গোড়ার মাটি সরে যাচ্ছে। ধসে পড়ছে রাস্তার পাশগুলো। গতকাল মঙ্গলবার রাতভর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৬টি ড্রেজার মেশিন ও পাইপ পুড়িয়ে ধ্বংস এবং ৩ জনকে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সত্যজিত রায় দাশ, মধবপুরের সহকারি কমিশনার মোঃ মহিউদ্দিন, এবং হবিগঞ্জের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান, এবং রাজীব দাশ পুরকায়স্থ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল জেলা পুলিশ, মাধবপুর থানা পুলিশ ও চুনারুঘাট থানা পুলিশের মোট চারটি দল।
জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের অন্তর্গত পানছড়ি, হলহলিয়া, বদরগাজী, মহিমাউড়া, রঘুনন্দনপুর ও শাহজিবাজার এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে রাত ১০ টা থেকে রাত ৩.০০টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে বিভিন্ন স্থান হতে ০৬ টি ড্রেজার মেশিন ও প্রায় ৫০০ মিটার পাইপ বিনষ্ট করা হয়। এসময় একটি অবৈধ বালু পরিবহনকারী ট্রাক্টর জব্দ ও তিন জনকে আটক করে প্রত্যেককে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। বালু উত্তোলনকারীরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন অবৈধ বালু উত্তোলনে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
Leave a Reply