সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন

প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এপ্রিলে

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০১৯
  • ৩৩৩ বার পঠিত

ডেস্ক নিউজ ॥ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এপ্রিলের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হবে, যা সারাদেশে তিন থেকে চার ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ১৫ এপ্রিল থেকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে (ডিইপি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবার আবেদনকারী বেশি হওয়ায় তিন-চার ধাপে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। দেশের অনেক বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক সঙ্কট রয়েছে। এ কারণে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮’ পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন (পিইডিপি-৪) প্রকল্পের আওতায় নতুন করে প্রাক-প্রাথমিক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ডিপিইর মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওএমআর সিট তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বুয়েটের তত্ত্বাবধানে তা তৈরি করা হয়েছে। ১৫ এপ্রিল থেকে নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সঙ্গে ডিপিইতে সভা হবে। সে সভায় পরীক্ষা-সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে গত ১ ফেব্র“য়ারি থেকে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-১৮’ লিখিত পরীক্ষা শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে সেটি পিছিয়ে মার্চে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় নিয়োগ পরীক্ষা ১৫ মার্চ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ডিপিইতে নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে ১৩ মার্চ ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯’ পালিত হওয়ায় এ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, এবার নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।
ডিপিইর কর্মকর্তারা জানান, এবারে সারাদেশে ১২ হাজার পদের বিপরীতে ২৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ফলে এবারই প্রথমবারের মতো লিখিত পরীক্ষা কয়েকটি ধাপে আয়োজন করা হবে। যে জেলার পরীক্ষা আগে শেষ হবে সেখানে আগেই ফল প্রকাশ করে মৌখিক পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।
কর্মকর্তারা জানান, পাশাপাশি বসা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ যেন একই সেট না পায় সে জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রার্থীদের প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করা হবে। পরীক্ষার্থীর রোল নম্বরের ওপর প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করা হবে। এবার পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শক নিয়োগের ক্ষমতা কেন্দ্র সুপারের কাছে থাকছে না। এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে অন্য প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব দেয়া হবে। সেন্ট্রাল থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শকদের শুধু দায়িত্ব বুঝে দেবেন কেন্দ্র সুপার।
মহাপরিচালক মনজুর কাদির বলেন, ‘স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নিয়োগ পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পরীক্ষা পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করতে আমরা বুয়েটের সহায়তায় একটি আধুনিক সফটওয়্যার তৈরি করেছি। সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস, পরিদর্শক নির্বাচনসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com