স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুয়াশার কারণে দিনের বেলা সূর্যের দেখা পাওয়াই দুস্কর। আর ঠান্ডার কারণে বাড়ছে রোগের প্রকোপ। ঠান্ডা-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাস, জ্বর ও ভাইরাল ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন নবজাতক, শিশু ও বৃদ্ধরা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। হবিগঞ্জ জেলায় রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল সহ কোনো কোনো হাসপাতালে শয্যার চেয়ে দ্বিগুণ ও তিন গুণ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ঠান্ডার কারণে মারা যাচ্ছে অনেক শিশু। কয়েক দিন ধরে ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে আসা শিশুদের চাপ বেড়েছে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে। সরেজমিনে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, তিল ধারনের ঠাই নেই। শিশু বৃদ্ধ সহ প্রায় শতাধিক মানুষ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে আসা রোগীর অভিভাবকরা বেশিরভাগই নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি-কাশি, শাসকষ্টের কথা বলছেন। চিকিৎসকরা শারীরিক অবস্থা দেখে ভর্তি করছেন। বাকিদের চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে বাড়ি পাঠাচ্ছেন। তবে রোগীর স্বজনরা জানান, একমাত্র খাবার স্যালাইন ছাড়া কিছুই মিলছে না সদর হাসপাতালে। প্রয়োজনের বেশি উষ্ণতায় শিশুকে রাখা যাবে না জানিয়ে চিকিৎসকগন বলেন, অনেক সময় দেখা যায় মা-বাবা শিশুকে অতিরিক্ত কেয়ার করতে গিয়ে বেশি উষ্ণতা দিয়ে ফেলছেন। এতে শিশুর শরীর থেকে যে ঘাম বের হয় সেটি তার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। এছাড়া সারাদিন দরজা-জানাল বন্ধ রাখা যাবে না। ঘরে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে দিতে হবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া শিশুকে নিয়ে বাইরে যাওয়া যাবে না। এছাড়া শিশুর সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।
Leave a Reply