স্টাফ রিপোর্টার :-মুজিববর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ‘মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলা’। গত ১৭ মার্চ দেশব্যাপী মেলার উদ্বোধন হয়, চলবে আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরাই এই মেলার মূল উদ্দেশ্য।
কিন্তু আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন মাঠে আয়োজিত মেলা চলছে হ-য-ব-র-ল ভাবে। মেলায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরগুলো স্টল বরাদ্দ নিলেও কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রদর্শীত হতে দেখা যয়নি। শুধুমাত্র নিজ নিজ স্টলে বঙ্গবন্ধুর কিছু ছবি টানিয়েই দায়িত্ব শেষ করে নিয়েছে অধিকাংশ সরকারি দপ্তর। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। বলছেন, এমন হ-য-ব-র-ল ভাবে অনুষ্ঠিত মেলায় শুধু অর্থ অপচয়ই হচ্ছে, সরকারের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মেলা ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ স্টলই ফাঁকা। উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রদর্শনীতো দূরের কথা অধিকাংশ স্টলে ছিলেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ। সাধারণ মানুষ মেলা দেখতে গিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ফিরে আসছেন। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিসসহ ৫/৬টি স্টলে বিভিন্ন কর্মকান্ড প্রদর্শীত হয়।
এদিকে, উপজেলা সমাজসেবা অফিসের স্টলে গিয়ে দেখা যায় একের পর এক হিন্দি গান চলছে। মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলার এমন কর্মকান্ডে বিব্রত হয়েছেন মেলায় আসা দর্শনার্থীরাও। সেই সাথে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং সমাজসেবা অফিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ইউনিয়ন সমাজকর্মী শেখ মাসুম হোসেন বলেন, ‘ব্যস্ততার কারণে আমরা স্টলে বসতে পারিনি। তাই অফিস সহায়ককে বসিয়ে রেখেছি। দেশাত্ববোধক গান ছাড়া অন্য কোন গান বাজাতে আমরা তাকে নিষেধ করেছি। হিন্দি গান বাজানোর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা সালেহা সুমি বলেন, ‘এই মেলায় আসলে কোন কিছু প্রদর্শনী করার কথা না। এখানে নিজ নিজ দপ্তরের বিভিন্ন ছবি টানিয়ে রাখার কথা এবং সব স্টলেই ছবি আছে। তবে সকালের দিকে স্টলে স্ব স্ব দপ্তরের কর্মকর্তারা ছিলেন দাবি করে তিনি বলেন- দুপুর হয়ে যাওয়া সবাই খাওয়া-দাওয়া করতে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘দেশের গান ছাড়া অন্য কোন গান বাজাতে পুরোপুরি নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। সমাজসেবা অফিসের স্টলে হিন্দি গান বাজানোর বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। আমি অফিসের কর্মকর্তাকে বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছি। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।’
Leave a Reply