শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নবীগঞ্জে মালামালসহ পিকআপ ভ্যান ডাকাতি ॥ চালককে অপহরণ ॥ পুলিশের তাৎক্ষনিক অভিযানে গ্রেফতার-১ ॥ মালামাল উদ্ধার হবিগঞ্জে ঠান্ডার কারণে বাড়ছে রোগের প্রকোপ চুনারুঘাটে চাকুরির মেলায় ১০২ জনের কর্মসংস্থান হল বাহুবলে টমটমের ভাড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত বানিয়াচংয়ে কুশিয়ারা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ॥ সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আমি সাংবাদিক ছিলাম।আমাকে সাংবাদিকতা শিখাতে হবেনা। চুনারুঘাটে ভোক্তা’র পরিচালক দেবানন্দ। শহরতলীর আলম বাজারে স্ট্যান্ড দখল নিয়ে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত বানিয়াচঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ॥ আহত অর্ধশত চুনারুঘাটে ছাত্র আন্দোলনে হামলায় গ্রেফতার আব্দুল কদ্দুসকে কারাগারে প্রেরণ

নিষিদ্ধ গাইড ও গ্রামার বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ৪১৬ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট: মির্জাপুরে সরকারি নিষেধ অমান্য করে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রভাবশালী নেতারা সিন্ডিকেট করে নিষিদ্ধ গাইড বই ও গ্রামার বই দিয়ে ‘বুক লিস্ট’ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, এই লিস্ট অনুসারে উপজেলার ৫৪টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তারা অভিযোগ করেছেন, বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের পরই এ ধরনের লিস্ট করা হয়ে থাকে।

উল্লেখ করা যেতে পারে, সরকার বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই পৌঁছে দেয়। সরকারিভাবেই গাউড বই কেনা নিষিদ্ধ। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে আমলে না নিয়ে বছরের পর বছর সমিতি এমনটি করে যাচ্ছে।

বইয়ের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইড ও গ্রামার বইয়ের দাম অনেক বেশি। বলা বাহুল্য, এগুলো কিনতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কষ্ট হয়। অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে এগুলো কেনাও সম্ভব হয় না। শিক্ষকদের তিরস্কার এড়াতে এদের অনেকেই স্কুলে আসাই বন্ধ করে দেয়।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭ম শ্রেণির ছাত্র আসিকুর রহমান ও ৯ম শ্রেণির ছাত্রী লতা আক্তার এবং অভিভাবকদের মধ্যে কৃষক আলী আজম ও আতাউল গনি অভিযোগ করেন, সমিতির নেতা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাপের মুখে পাঞ্জেরী বুক কোম্পানির গাইড বই ও গ্রামার কিনতে তারা বাধ্য হচ্ছেন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাঁশতৈল মো. মনশুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এমরান হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রতি বছর সমিতির মাধ্যমে পাঠ্য তালিকা করা হয়। এ বছরও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে গাইড বই ও গ্রামার পাঠ্য করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন অর রশিদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, সরকারি বিনামূল্যের বইসহ গ্রামার শিক্ষার্থীদের বিতরণ করা হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন বুক কোম্পানির নিষিদ্ধ গাইড বই ও গ্রামার পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই। যদি শিক্ষক সমিতি এমন করে থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com