নিজস্ব প্রতিনিধি॥ হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ও বকেয়া বিলের জন্য অভিযান পরিচালনা করেন সিলেট বিদ্যুৎ আদালতের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুল হালিম। তিনি দুইদিনে ২৪টি মামলা ও ১৯টি স্থাপনার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এর মধ্যে বুধবার মামলা দেয়া হয় ১৪টি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় ৯টি এবং মঙ্গলবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় ১০টি ও মামলা দেয়া হয় ১৪টি। এ সময় প্রায় লক্ষাধিক টাকার মামলামাল জব্দ করা হয়। যার অধিকাংশই শহরতলীর বিভিন্ন গ্রামের। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তেঘরিয়া আবাসিক এলাকায় বিদ্যুৎ অফিসের স্টোর কিপার আব্দুল করিমের একটি নব নির্মিত ভবনে অবৈধ সংযোগ পাওয়া যায়। এ সময় মোটরসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনে মামলা দেয়া হয়। এ সময় একই এলাকার শাহ্ সফর আলীর একটি ভবনে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায় তার বিরুদ্ধেও মামলা দেয়া হয়।এছাড়া, ওই এলাকার মসকুদ আলীর বাসায় অবৈধ সংযোগ থাকায় মামলা দেয়া হয় এবং মামলামাল জব্দ করা হয়। ভাঙ্গাপুল এলাকার আব্দুল মমিনের একটি বাসায় ম্যাজিস্ট্রেট যাওয়ার কথা শুনে অবৈধ সংযোগ কেটে পেলেন। এ সময় মামলা দিয়ে মালামাল জব্দ করা হয়। একই এলাকার আব্দুল মালেকের একটি ভবনে অবৈধ সংযোগ দিয়ে পানি তুলার অপরাদে মামলা দেয়া হয় এবং মামলামাল জব্দ করা। এ সময় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার অপিরাধে বিদ্যুৎ অভিসের এক লাইনম্যান বহুলা গ্রামের কামাল মিয়াকে বিদ্যুৎ আইনে মামলা দেয়া হয়। শহরতলীর নোয়াগাঁও গ্রামের ময়না মিয়া ও সজল মিয়ার বাড়িতে অবৈধ সংযোগ দেয়ায় লাইনম্যান সিনেমাহল এলাকার বাসিন্ধা আরজু মিয়াসহ বাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়। উত্তর জালালাবাদ এলাকার খোয়াই নদীর পাড়ে অবস্থিত আব্দুল রেজাক ও মিলন মিয়ার বাড়িতে অবৈধ সংযোগ থাকায় মামলা দেয়া হয়।এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান- দুইদিন ২৪টি মামলা ও ১৯টি স্থাপনার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় প্রায় লক্ষাধিক টাকার মামলামাল জব্দ এবং প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ব্যাপারে সিলেট বিদ্যুৎ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, সিলেট বিভাগের মধ্যে হবিগঞ্জেই সব চেয়ে বেশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন- বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অবৈধ সংযোগ দেয়ার প্রবণতায় জড়িয়ে পরেছেন। তাদের হুশিয়ারি করে দেয়া হয়েছে। এরপরও এমনটা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় তাদেরকে সহযোগিতা করে সদর থানার একদল পুলিশ।
Leave a Reply