সপ্তাহখানেক আগে পুলওয়ামায় হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে বোমা নিক্ষেপ করে ভারতীয় বিমানবাহিনী। তারা ৩০০ জঙ্গি নিহতের দাবি করলেও পাকিস্তানি সরকারের তরফে বলা হয়, ভারতীয় বাহিনী ফাঁকা জায়গায় বোমা ফেলে পালিয়েছে।
ওই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিমানবাহিনীকে অভিনন্দন জানান বলিউডের অনেকেই। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। টুইটারে লেখেন, “জয় হিন্দ। #ইন্ডিয়ান আর্মড ফোর্সেস।”
এই মন্তব্য নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন প্রিয়াঙ্কা। যার আওতায় পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় অবহেলিত শিশুদের নিয়ে সচেতনতা তৈরি, নারীর অধিকার সুনিশ্চিত করা, তাদের কাছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া, পরিবেশ রক্ষা এবং লিঙ্গবৈষম্যের অবসান সংক্রান্ত সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয় তাকে। বাংলাদেশেও এসেছিলেন নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের দেখতে।
আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব হয়েও প্রিয়াঙ্কা নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার বদলে, ভারতীয় সেনাদের গুণকীর্তন করায় রুষ্ট হয়েছেন পাকিস্তানের অনেকে। তাই ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূতের দায়িত্ব থেকে প্রিয়াঙ্কাকে সরানোর দাবি তুলে একটি ওয়েবসাইটে পিটিশন দায়ের করেন তারা।
ইতিমধ্যে ওই পিটিশনে কয়েক হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, “দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে মৃত্যু মিছিল শুরু হবে। এত দিন ধরে যা কিছু গড়া হয়েছিল, এক নিমিষে সব নিঃশেষ হয়ে যাবে। ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়া উচিত ছিল প্রিয়াঙ্কার, শান্তির বার্তা দেওয়া উচিত ছিল। তা না করে ভারতীয় বিমানবাহিনীর গুণগান করেছেন উনি, যারা কিনা আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানে ঢুকে এসেছিল। এর পর আর ওই পদে থাকা মানায় না প্রিয়াঙ্কার। অবিলম্বে তাকে সরানো হোক।”
তবে এ বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও ইউনিসেফের কোনো মন্তব্য আসেনি। এ নায়িকার বাবা অশোক চোপড়া সেনাবাহিনীতে চিকিৎসক হিসেবে ছিলেন। এর আগেও একাধিকবার সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন প্রিয়াঙ্কা।
সুত্রঃ দেশ রুপান্তর
Leave a Reply