আবুল হাসান ফায়েজ◾
করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশে অঘোষিত লকডাউন চললেও হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রতিষ্ঠিত অর্ধশতাধিকের শিল্প-কারখানা রয়েছে সচল। চা বাগানসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শতশত শ্রমিক প্রতিদিন গাদাগাদি করে নিজস্ব বাস, লেগুনাসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে কারখানাতে কাজে যোগ দিচ্ছে। এতে বড় ধরণের করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে শ্রমিকেরা।
এদিকে সোমবার মাধবপুরের পার্শ্ববর্তি চুনারুঘাটের পানছড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ শ্রমিক করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার খবরে এমনিতেই পুরো জেলা জুড়ে করোনা আতঙ্ক বিরাজমান। এর মাঝে কল-কারখানা বন্ধ না হওয়ায় বিষয়টি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার যমুনা ইন্ডাট্রিয়াল পার্ক, স্টার ফরসোলিন, বাংলাদেশ হার্ডল্যান্ড সিরামিকস, চারু সিরামিকস, আর কে কয়েল ফ্যাক্টরি, স্টার সিরামিক্স, পাইওনিয়ার ডেনিমস লিঃসহ অধিকাংশ ফ্যাক্টরিতে কেবলমাত্র মাস্ক ব্যবহার করে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিচ্ছে। একইভাবে বের হচ্ছে করোনা প্রতিরোধক কোনো কিছু ব্যাবহার না করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান- মাধবপুরে স্থাপিত অধিকাংশ শিল্প কারখানায় শ্রমিক ইউনিয়ন নেই। শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া আদায়ের সুয়োগ না থাকায় চাকরি হারানোর ভয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিসারদের নির্দেশে কাজে যোগ দিতে হচ্ছে। শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারেই রয়েছে।
এ বিষয়ে স্টার ফরসোলিনের এডমিন ম্যানেজার সৈয়দ শাহাদত হোসেন জানান- এখনো প্রশাসনিকভাবে কোম্পানি বন্ধের কোন নির্দেশনা পাইনি। প্রতিটি শ্রমিকের পর্যাপ্ত পরিমান নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান জানান- কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে কাজ পরিচালনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে, যদি নির্দেশনা অমান্য করে স্বাস্থ্য তথা করোনা ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকদের কাজ করতে হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply