বাহুবল প্রতিনিধি:হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার মিরপুর চৌমুহনী টু মিরপুর মহাসড়ক পর্যন্ত আরসিসি ও পশ্চিম দিকে মহাসড়ক থেকে ধুলিয়াখাল রোডে উপজেলার সীমান্ত রাস্তা পর্যন্ত মেরামতকরণের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিজানুর রহমান শামীম এন্টাপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবুল কাশেমকে ১ম ও ২য় দফায় কাজ করার আগেই প্রায় ৫০ লাখ টাকার বিল প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আর এই বিলের মূল কারিগর হচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বান্দরবন জেলার আলীকদম উপজেলা থেকে বদলী হয়ে বাহুবল উপজেলা প্রকৌশল অফিসে যোগদানকারী উপ-সহকারী প্রকৌশলী সিপন কুমার দাস। মূলত: ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সুবিধা প্রদানের জন্যই এই বিলের যাবতীয় ব্যবস্থা করেন তিনি।
জানা যায়, প্রায় মাস খানেক পূর্বে ওই ঠিকাদারকে ১ম দফায় অগ্রিম বিল বাবদ ৩০ লাখ ও এর ২০/২৫ দিন পর আবারও ২য় বিল বাবদ ২০ লাখ মিলে প্রায় ৫০ লাখ টাকার বিল প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ ) থেকে তড়িগড়ি করে লোক দেখানোর আরসিসি’র কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে আদৌ কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা অনুমেয়। ওই রাস্তা উন্নয়নে প্রায় দু কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য এলজিইডি হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বাছির ও সিলেট বিভাগীয় তত্বাবধায়ক আলী হোসেন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এছাড়া উপ-সহকারী প্রকৌশলী সিপন কুমার দাসকে ঢাকা প্রধান প্রকৌশলীর অফিস থেকে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদে বদলীর আদেশ দেয়া হয়। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বদলীর আদেশের পরও তিনি রহস্যজনক কারণে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে বাহুবলেই বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
Leave a Reply