বাহুবল প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ জেলার ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতীক বাহুবল একুশে বইমেলা। মেলাটি আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে চির জাগ্রত রাখছে। বাংলা ভাষার সঠিক চর্চার লক্ষ্যে বেশি করে বই পড়তে হবে। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বাহুবল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৫ দিন ব্যাপি ঊনবিংশ একুশে বইমেলা ২০২০- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান এই কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। জেলা প্রশাসক বলেন, গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে, মনুষ্যত্বের বিকাশের জন্য, সত্যিকার জ্ঞান অর্জনের জন্য, সত্যিকারের মানুষ হওয়ার জন্য বইয়ের বিকল্প শুধুই বই। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের প্রভাবে বই বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। ইন্টারনেটের প্রয়োজন আছে, তবে তা প্রয়োজনের বেশি যেন না হয়। তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, পাঠ্যবইয়ের পর ইন্টারনেট নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। তরুণেরা ভালো বই পড়লে নানা রকমের অপরাধকর্মে থেকে বিরত থাকবে। তাদের বলব ভালো বই পড়। আজকের বই মেলায় আমরা ওয়াদাবদ্ধ হই এখন থেকে নিজেরা বই পড়ব এবং অন্যদের বই উপহার দেব।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি স্নিদ্ধা তালুকদার-এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হোসেন শাহ’র পরিচালনায় রাখেন বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান, বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলমগীর হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির চৌধুরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. আবুল হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াছমিন, ডিএনআইর সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, বাহুবল মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম নূর, মেডিকেল অফিসার কনক চাঁপা নূর মিথিলা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আসাদুজ্জামান। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) খ্রিষ্টফার হিমেল রিছিল। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা নূরুল আমীন ও গীতা পাঠ করেন রতন আচার্য্য।
আলোচনা সভার পূর্বে বিকাল ৪টায় কিশলয় জুনিয়র হাই স্কুল সংলগ্ন মাঠে ফিতা কেটে ঐতিহ্যবাহী বাহুবল একুশে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি। পরে তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং বই ক্রয় করেন। সন্ধ্যা ৭টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উল্লেখ্য, এ বছর মেলায় ২৯টি স্টল অংশগ্রহণ করছে। মেলাটি সোমবার থেকে শুরু হয়ে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার পর্যন্ত চলবে।
Leave a Reply