শাহ মোহাম্মদ দুলাল আহমেদ,বাহুবল (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি:আবারও বাহুবল বাজারে নিত্যপণ্য পেঁয়াজের বাজারে আগুন লেগেছে।যেন স্পর্শ করতেই পারছেনা সাধারণ ক্রেতারা।লাগামহীন ভাবে বিক্রি করছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।এতে ক্রেতাদের মাঝে চরম হতাশার আশংকা দেখা দিয়েছে।
প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
আজ ২১ নভেম্বর বাজার ঘুরে দেখা যায়,তন্নী স্টোর,রিংকু ভেরাইটিজ স্টোরে ১৫০ টাকা দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
গত দুই আগে ১৯ নভেম্বর বাজার মনিটরিং করে বাহুবল উপজেলা প্রশাসন।সে সময় প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দরে বিক্রি করার নির্দেশ।সে সময় ক্রেতারা সহনীয় দামে পেঁয়াজ ক্রয় করে।
কিন্ত পর দিন বাজারের চিত্র বদলে যায়,সৃষ্টি হয় কৃত্রিম পেঁয়াজের সংকট।যেন হাওয়ায় উড়িয়ে যায় বাজারের সবকটি পেঁয়াজ!সারা বাহুবল বাজারের প্রতিটি দোকান হয় পেঁয়াজ শূন্য।এতে ক্রেতাদের মাঝে সৃষ্টি হয় হতাশা আর হতাশা।
এরই মধ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে ভাইরাল হয় পেঁয়াজ বাজারের শূন্যতার খবরাখবর।
ক্রেতারা বলছেন,অল্প সময়য়ের মধ্যে বাজারের বিপুল পরিমান পেঁয়াজ কোথায় গেল?এ নিয়ে নানান প্রশ্ন সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে।
এ প্রতিবেদকের চোখে পরছে বিচিত্র চিত্র,তাৎক্ষণিকভাবে নাম জানতে পারিনি, একক্রেতা এই দোকান যান একবার জিজ্ঞেস করেন—পেঁয়াজের দাম কত?উত্তর আসে দেড়শ!আবার যান আরেক দোকানে পেঁয়াজের দাম কত?দোকানদান বলে উঠল দেড়শ,ক্রেতা উত্তরে কোন দাম বলে না।প্রতিবেদক তার সাথেই ছিল তথক্ষণ।
শেষে অতিষ্ঠ হয়ে,রিংকু ভেরাইটিজ স্টোর থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে ১ কেজি পেঁয়াজ কিনে নিলেন।
জানতে চাইলাম,কেন এ দোকান থেকে ঐ দোকানে ছূটছিলেন,ক্রেতা বললেন,কম দামে কিনার জন্য।শেষ পর্যন্ত দোকানদারের দামেই কিনে নিলাম।
সারা দেশে পেঁয়াজ উর্ধ্ব দামে বিক্রি হওয়ায় সরকার পাকিস্তান,মিশর,তুরস্ক আরাও কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করেছে।ইতিমধ্যে পেঁয়াজ এসে পৌঁছেছে।
টিসিবি কর্তৃক ৪৫ টাকা দরে রাস্তায় গাড়ি করে পেঁয়াজ করছে।তার পরেও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছেনা।
বাহুবল বাজারের পেঁয়াজের পাইকারী ব্যবসায়ী ভলরাম পালের সাথে পেঁয়াজের দাম নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,’আমরা শ্রীমঙ্গল থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করে আনছি।তিনি জানান,১ কেজি পেঁয়াজের দাম গাড়ি ভাড়াসহ ১৪০—১৪৫ টাকা কিনা পরছে।আমরা কিভাবে সরকারের দেয়া দামে বিক্রি করি। সরকারের দেয়া দামে বিক্রি করলে আমাদের অনেক টাকা লোকসান গুনতে হয়।
এ দিকে বাহুবল উপজেলা সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং করলে ও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে।এতে প্রশাসনের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে ধারনা করছে সর্বজন।
বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বার বার তাঁর ফেইজবুক আইডি থেকে পেঁয়াজের দামের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন।সাথে চালিয়েছেন বাহুবলের কয়েকটি হাটে অভিযান।করছেন বিভিন্ন অংকে জরিমানা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক জানান,বাজার নিয়ন্ত্রণে ২৪ ঘন্টা কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। তিনি জানান,যে কেউ বাড়তি দামের বিষয়ে অভিযোগ করতে পারবেন। ৩৩৩ বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাহুবল ০১৭৩০৩৩১১৪১, বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমেল 01712577262, অথবা বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ 01713374401 এ কল দিয়ে অভিযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করছেন তিনি।
Leave a Reply