অনলাইন ডেস্কঃ তূর্ণা নিশীথার চালক (লোকোমাস্টার) তাহের উদ্দিন ও সহকারী অপু-দে অটো ব্রেকে ইট দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার কারণে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবায় উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাদের এমন গাফিলতির কারণে রেলওয়ের স্মরণকালের ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হতাহতের ঘটনায় তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের লোকোমাস্টার তাহের উদ্দিন, সহকারী লোকোমাস্টার অপু-দে ও গার্ড আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনার কারণ চালকের অসচেতনতাকে দায়ী করেছেন।
রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন ওই দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তূর্ণার দায়িত্বরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি চালক ও সহকারী অটো ব্রেকে ইট দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন।
তিনি বলেন, ট্রেন অটো ব্রেক সিস্টেমে চলে। ট্রেন তখনই চলে যখন ওই ব্রেক সিস্টেমে পা বা অন্য কিছু দিয়ে চেপে ধরা হয়। ব্রেকে চাপ না দিলে ট্রেন চলে না। তূর্ণার চালক ও সহকারী ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবায় পৌঁছার আগেই ব্রেকে ইট দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
তিনি জানান, তূর্ণা নিশীথা বিরতিহীন ট্রেন। মন্দবাগে দুই ট্রেনের ক্রসিংয়ের সময় সিগন্যাল পেয়ে উদয়ন মেইন লাইন থেকে লুপ লাইনে প্রবেশ করছিল। ট্রেনের নয়টি বগি লুপ লাইনে চলে যাওয়ার পর দশম বগিতে আঘাত করে তূর্ণা নিশীথা। অথচ তূর্ণাকে সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সবগুলো বিষয় সামনে রেখে তদন্ত করছি। তদন্তের আগে কিছু বলা যাবে না। ইতোমধ্যে দায়িত্বে গাফিলতির কারণে ওই তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সুত্রঃ বিডি-প্রতিদিন
Leave a Reply