বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার হবিগঞ্জের কৃতিসন্তান নাজমুল হোসেন ক্রিকেট থেকে ফিরে গেলেও আবার যুক্ত হচ্ছেন ক্রিকেটের সাথেই। তবে সেটা সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট টিমের সহকারী কোচের ভূমিকায়। দলের হয়ে বেশি ম্যাচ না খেললেও যেটুকু সুযোগ পেয়েছিলেন বেশ দাপটের সাথেই খেলেছিলেন।
প্রায় ১৫ বছর আগে ২০০৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার। একই বছর ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক। তবে ইনজুরি আর টিম কম্বিনেশনের কারণে টেস্ট ক্যারিয়ার স্থায়ী না হলেও নাজমুল খেলে যাচ্ছিলেন ওয়ানডে।
সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১২ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ বোলিং করে যখন দলে জায়গাটা শক্ত করছিলেন তখনই আবার ঝড়ো হাওয়া লাগে। ইনজুরির কারণে জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়ে আর ফেরা হয়নি তার।
সূত্র জানায়, এবার জাতীয় দলের সাবেক তারকা পেস বোলার হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান এবং জেলার একমাত্র টেস্ট ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট টিমের সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
২৩ সেপ্টেম্বর তার এই নিয়োগের খবর প্রচারিত হয়। কোচিং ক্যারিয়ারেও হবিগঞ্জের কোনও কোচ হিসেবে এটি সর্বোচ্চ দায়িত্ব প্রাপ্তির ঘটনা। এর আগে তিনি ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে এবং ক্রিকেট একাডেমিতে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার ও নবগঠিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন হবিগঞ্জের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে জাতীয় দলের পক্ষে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। বাংলাদেশের অনেক সফলতার সাথে তার নাম জড়িত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে প্রথম সিরিজ জয় এবং এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক পাওয়া দলেও নাজমুল মাঠে ছিলেন।
এ ব্যাপারে ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন বলেন, খেলোয়াড়ি জীবনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সিলেট বিভাগের অবস্থান সুসংহত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন তিনি। এক সময় জাতীয় দলে আমরা সিলেটের ৪/৫ জন একসাথে খেললেও এখন এই সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
আমি নিজে যেহেতু পেস বোলার ছিলাম, সেই হিসেবে সিলেট থেকে জাতীয় দলে যাতে বেশি করে পেস বোলার সরবরাহ করা যায় সেদিকে বিশেষ নজর থাকবে। হবিগঞ্জ থেকে ভাল ক্রিকেটার সৃষ্টিতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
নাজমুল আরো বলেন, ‘ব্যবসা বাণিজ্যসহ অনেক কাজই করা যায় কিন্তু গত ২০ বছরে ক্রিকেট রক্তে মিশে গেছে। এটা থেকে নিজেকে সরানো খুব কঠিন। এটা খুব ভালো হবে যে আমি আমার অভিজ্ঞতাগুলো ছোট ভাইদের সাথে শেয়ার করবো।
নাজমুল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২টি টেস্টে ৫ উইকেট এবং ৩৮টি ওয়ানডে ম্যাচে ৪৪ উইকেট ও ৪টি ম্যাচে ওয়ানডে খেলে ১উইকেট নিয়েছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন ৫২টি ম্যাচ। উইকেট শিকার করেছেন ৯৬টি।
Leave a Reply