বিনোদন ডেস্কঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিজেপির তোপের মুখে পড়লেন দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। পাশাপাশি ভক্তদের মধ্যেও সৃষ্টি করেন ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া। রোববার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সমর্থনে প্রচারণা চালান এই নায়ক। এদিন প্রার্থী কানাইয়ালাল হুডখোলা গাড়িতে করে ফেরদৌসকে নিয়ে রোড শো করেছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এই প্রচারণায় ফেরদৌসের সঙ্গে ছিলেন টালিগঞ্জের আরও দুই জনপ্রিয় তারকা অঙ্কুশ ও পায়েল সরকার।
আগামী ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় রায়গঞ্জ, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়িতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবারও রাজ্যটির করণদিহি এবং ইসলামপুরের দুইটি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যায় ফেরদৌসকে।
এদিকে ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় বাংলাদেশি নাগরিকের অংশগ্রহণে সমালোচনার ঝড় বইছে। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘ভারতের একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কীভাবে বিদেশি নাগরিককে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে রোড শো করায়! আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।’
এ রকম আগে হয়নি জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ্য করে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল হয়তো মমতা ব্যানার্জি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দিয়ে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে ডাকতে পারেন।’
দিনাজপুর জেলার ৫০ শতাংশ মুসলিম ভোটারদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন ‘তৃণমূল আসলে আমাদের দেখে ভয় পেয়ে গেছে, তাই বাংলাদেশ থেকে অভিনেতা নিয়ে এসেছে তারা।’
দিলীপ ঘোষের এমন তীর্যক মন্তব্যের পর কানাইয়ালালের নির্বাচনী এজেন্ট মুসারফ হুসেন জানান, ‘ফেরদৌস বাংলাদেশে একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। আমরা তাকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর হয়ে রোড শো-এ উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম এবং তিনিও রাজি হয়েছেন। এছাড়া আর কিছুই নয়।’
উলেস্নখ্য, এর আগে গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন ফেরদৌস। সেখানেও ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিলেন তিনি।
সুত্রঃ যায়যায় দিন
Leave a Reply