অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের সিনেমা জগতের কিংবদন্তি অভিনেতা টেলি সামাদ এখন না ফেরার দেশে। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার কন্যা সোহেলা সামাদ কাকলী। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই নানা অসুখে ভুগছিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা। সম্প্রতি শরীর বেশি খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (৬ এপ্রিল) তার মৃত্যু হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের শক্তিমান এই কৌতুক অভিনেতা।
গত বছরের শেষের দিকে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় তার অবস্থার অবনতি হলে বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়।
এর আগে টেলি সামাদ ঢাকার পান্থপথে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সে সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, টেলি সামাদের বুকে ইনফেকশন রয়েছে, তার ডায়াবেটিস রয়েছে। আর রক্তের প্লাটিলেটও কমে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
আবদুস সামাদ ‘টেলি সামাদ’ হিসেবেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতেন; টেলিভিশন থেকে চলচ্চিত্রে পা রাখায় তার এই নাম হয়ে যায়, যা তিনি নিজেও আর বদলাননি। শুরু থেকেই অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষকে হাসিয়ে বিপুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ নয়াগাঁও এলাকার সন্তান সামাদ। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা সামাদ তার বড়ভাই চারুশিল্পী আব্দুল হাইকে অনুসরণ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়।
১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সামাদ। গত চার দশকে ৬০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জিরো ডিগ্রী’।
কমেডিয়ান হিসেবে দর্শক টেলি সামাদকে চিনলেও প্রায় ৪০টির বেশি চলচ্চিত্রে গানও গেয়েছেন টেলি সামাদ। ‘মনা পাগলা’ ছবির সংগীত পরিচালনাও করেন তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ অভিনেতা টেলি সামাদের চাচা।
Leave a Reply