স্পোর্ট ডেস্কঃ এটা কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করবে। নর্দাম্পটনে খেললে একরকম হতে পারে, সাউদাম্পটনে খেললে আরেকরকম, আবার কার্ডিফে অন্যরকম হতে পারে। সেক্ষেত্রে যদি আমরা চার পেস বোলার নিয়ে খেলতে চাই, সেটাতে আমরা কিন্তু প্রস্তুত। মাশরাফি, রুবেল, মুস্তাফিজের সঙ্গে সাইফউদ্দিন। -খালেদ মাহমুদ সুজন
নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ শেষ করে বাংলাদেশ দল দেশে ফেরার পরই ঘোষণা করা হবে ২০১৯ বিশ্বকাপের স্কোয়াড। কিউইদের মাটিতে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজই বিশ্বকাপের দল গঠনের মানদন্ড! সেখানে ভালো করায় ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান ও পেস-বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বিশ্বকাপ দলে থাকার দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
ইংল্যান্ডের কন্ডিশন বিবেচনায় টাইগার দলে পেস বোলারদের আধিক্য থাকবে বলেও মনে করেন বাংলাদেশের সাবেক এ অধিনায়ক। খালেদ মাহমুদের বিশ্বাস, চার পেসার নিয়ে একাদশ সাজানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে টিম টাইগার্স।
‘এটা (একাদশ) কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করবে। নর্দাম্পটনে খেললে একরকম হতে পারে, সাউদাম্পটনে খেললে আরেকরকম, আবার কার্ডিফে অন্যরকম হতে পারে। নির্ভর করবে পার্টিকুলার ডে’তে একজন স্পিনার বেশি খেলাবেন নাকি বাড়তি পেসার খেলাবেন। সেক্ষেত্রে যদি আমরা চার পেস বোলার নিয়ে খেলতে চাই, সেটাতে আমরা কিন্তু প্রস্তুত। মাশরাফি, রুবেল, মুস্তাফিজের সঙ্গে সাইফউদ্দিন। সাইফউদ্দিন খেললে যেটা হবে ব্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়বে।’
‘স্পিনে সাকিব আমাদের অটোমেটিক চয়েস। মিরাজ বা সাইফউদ্দিন কাকে একাদশে রাখা হবে, সেটা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে হয়তো আলোচনা হবে। আদতে বাংলাদেশ দল কেমন হবে সেটা বোঝাই যায়। দল তো গোছানোই আছে। মিরাজও আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। একাদশে তিনটা সিমার, চারটা সিমার নাকি পাঁচটা সিমার হবে এটা কন্ডিশন বা পার্টিকুলার ডের উইকেট বুঝেই তৈরি করতে হবে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৪৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন সৌম্য সরকার। বিশ্বকাপের আগে এ বাঁহাতির রানে ফেরা স্বস্তি দিচ্ছে মাহমুদকে। সাব্বির-সাইফের ফর্মও আশাবাদী করছে তাকে। বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘিরে যে দু-একটি জায়গা নিয়ে চিন্তা ছিল, সেটি তাদের পারফরম্যান্সের পর নির্বাচকদের কাজটা সহজ হয়ে গেছে বলে মনে করেন ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তান-বধের নায়ক।
‘সবশেষ সিরিজে আমরা শুধু সাকিবকে মিস করেছি। সাকিব থাকলে দলটা ভারসাম্যপূর্ণ হয়। একটা বোলার, ব্যাটসম্যান বেশি থাকে। এখন যে ১৫-১৬ জন আছে, তাদের মধ্যেই সেরা কম্বিনেশন তৈরি করতে হবে। নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে সিরিজে সাইফউদ্দিনের অন্তর্ভুক্তি দারুণ ছিল। সাব্বির ফর্মে এলো, সৌম্য টেস্ট ম্যাচে রান করল, এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবাই মোটামুটি রানে আছে। এখন যে ১৫-১৬ জন আছে এখান থেকেই হয়তো দলটা হবে।’
২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজে চার পেসার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে ছিলেন রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও নবাগত মুস্তাফিজুর রহমান। তাতে মেলে সাফল্য। ২-১ এ সিরিজ জেতে টিম টাইগার্স। তার আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ২০১৫ বিশ্বকাপে অবশ্য তিন পেসার নিয়েই খেলেছে বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের কন্ডিশনও পেস সহায়ক। গত সাড়ে তিন বছরে দেশের মাটিতেই তিন পেসার নিয়ে নামা মাশরাফির দলের চেনাদৃশ্য। আগামী ৩০ মে থেকে ১৪ জুলাই, বেশ লম্বা সময়জুড়ে চলবে এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডে পা রাখার আগে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
অংশগ্রহণকারী দশটি দলের বিশ্বকাপ ভাবনা শুরু হচ্ছে আগেই। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই হচ্ছে বাংলাদেশের। ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে তবেই মূল বিশ্বকাপে যাবে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। লিগ পর্বের বাকি ৯টি দলের সঙ্গেই ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
সুত্রঃ যায়যায় দিন
Leave a Reply