নাজিম উদ্দিন সুহাগ : বাহুব ডাকাতির ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় লুণ্ঠিত অর্থ ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধারসহ ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার মধ্যে রাতে ওসি মাসুক আলী ও পুটিজুরী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহ মোঃ মোবাশ্বিরের যৌথ নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার মুদাহরপুর গ্রামের মৃত বাজিদ উল্লার পুত্র ইয়ার হোসেন (২৬) ও ডুবাঐ গ্রামের শহিদ মিয়ার পুত্র আঃ ওয়াহিদ রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে ডাকাতির সাথে সরাসরি জড়িত উপজেলার উত্তর স্নানঘাট গ্রামের মৃত মহরম আলীর পুত্র রশিদ মিয়া (৩২) ও দক্ষিণ স্নানঘাট গ্রামের আফসর উদ্দিনের পুত্র বশির মিয়া (৪৩) কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃত রশিদ মিয়ার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ১২ হাজার ৫শ ও বশির মিয়ার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি লোহার রড উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ০৬ ফেব্র“য়ারি রাতে উপজেলার রাজসুরতস্থ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা ভৈরব বাজার থেকে মাছ বিক্রি করে ফেরত আসা ব্যবসায়ীদের পিকআপ ভ্যান আটক করে তাদের সাথে থাকা নগদ দেড় লক্ষ টাকা লুটে নেয়। এ ঘটনায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আটঘর গ্রামের মৃত লোকমান মিয়ার পুত্র এখলাছ মিয়া ও মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র আতাউর রহমান গুরুত্বর আহত হয়ে বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। ঘটনার পর থেকে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামেন। প্রথমে তিনি ডাকাতির স্বীকার হওয়া এখলাছ মিয়ার কাছ থেকে ঘটনার প্রাথমিক ধারণা নিয়ে তাদের পরিবহনকারী পিকআপ ভ্যান চালক ইয়ার হোসেন ও হেলপার আব্দুল ওয়াহিদ রুবেলকে গ্রেফতার করেন। পরে তাদের দুজনের স্বীকারোক্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত দুই মূল হোতা রশিদ ও বশিরকে গ্রেফতার করেন।
এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী বলেন, আমি ডাকাতির ঘটনা জানার পর থেকেই বিষয়টি মূল রহস্য উদঘাটন করতে তৎপর হয়ে পরি। কিভাবে চাঞ্ছল্যকর এ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটল তা উদঘাটনে আমিসহ ২/৩ জন অফিসার মাঠে নেমে পরি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতির সাথে জড়িতদের আটকসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হই। সোমবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত বশির ও রশিদের বিরুদ্ধে বাহুবল থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply