স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ সোমবার (২৬ রজব ১৪৪৩ হিজরি) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ। ধর্মীয় ভাব -গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হবে পবিত্র এ রজনী । ইসলাম ধর্মমতে-মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ৫১ বছর বয়সে মিরাজের ঘটনা ঘটে। মহান আল্লাহ পৃথিবী থেকে রাসুল (সা.)কে বিশেষ বাহনের (বোরাক) মাধ্যমে প্রথম আসমান থেকে একে একে সপ্তম আসমান,জান্নাত জাহান্নাম পরিদর্শন করান। নবী করিম (সা.)-এর মিরাজের রাতের এই ঘটনা স্মরণে ধর্মপ্রাণ জানায়,মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে শবে মেরাজ পালন করেন । ইসলামিক ফাউন্ডেশন পবিত্র শবে মেরাজ ১৪৪৩ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে কাল বেলা দেড়টায় (বাদ জোহর) বায়তুলমোকাররম জাতীয় মসজিদে’পবিত্র শবে মেরাজ’- এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা,দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের এতে অংশ নিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুরোধ জানিয়েছে। ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী,হযরত মুহাম্মদের (সা.) নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বৎসরের (৬২০ খ্রিস্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে হযরত জিব্রাঈল (আ.) – এর সঙ্গে পবিত্র কাবা হতে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর আরশে আজিমে মহান আল্লাহর দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন । এ সময় তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য । রাসুল (সা.)-এরজীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা হচ্ছে’মেরাজ’। ইসলামের ইতিহাসে নবুওয়াতের মেরাজ এমনকি পুরা ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা । সর্বশ্রেষ্ঠ কারণ,মহামানব মুহাম্মদ ( সা . ) ছাড়া অন্যকোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি । ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব হচ্ছে, এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মে নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট করা হয় ।
Leave a Reply