রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন

চুনারুঘাটে প্রয়াত দপ্তরি কুদরতের অসহায় স্ত্রী সন্তানদের পাশে শিক্ষা অফিসার মাসুদ রানা

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১
  • ২৫৩ বার পঠিত

নুর উদ্দিন সুমন : জেলার চুনারুঘাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ রানার উদ্যোগে অলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত দপ্তরি কাম প্রহরী কুদরত উল্ল্যার অসহায় পরিবারকে আর্থিক সয়হায়তা প্রদান করা হয়েছে। (৩১ মে) দুপুরে উপজেলা হলরুমে কুদরত উল্ল্যার বিধবা স্ত্রী ও তিন নাবালক সন্তানের হাতে উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক,দপ্তরি ও কর্মকর্তাগনের আন্তরিক সহযোগিতায় ৩ লক্ষ তেত্রিশ হাজার টাকা মানবিক সাহায্য তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, মো: ইব্রাহিম মিয়া ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, দপ্তরি সহ আরো অনেকেই। প্রসঙ্গত : উপজেলার অলিপুর স্কুলের দপ্তরি কাম দপ্তরী কুদরত উল্লাহ, গত কিছুদিন পুর্বে স্ট্রোক করে মারা যান। মারা যাওয়ার পর তিন সন্তান নিয়ে কুদরত উল্ল্যার স্ত্রী অসহায় হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে শিক্ষক নেতা মো: ফখরুল ইসলাম সহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ রানা খাদ্যসমাগ্রী ও নগদ অর্থ কুদরত উল্ল্যার বাড়িতে তার পরিবারকে দেখতে গিয়ে প্রদান করেন এবং তাদেরকে আরও সহযোগীতার জন্য আশ্বস্ত করেন।

সেই অনুযায়ী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ রানার জোরালো প্রচেষ্টায় শিক্ষক, দপ্তরী ও কর্মকর্তাগনের আন্তরিক সহযোগিতায় তিন লক্ষ তেত্রিশ হাজার টাকা প্রদান করেন। কুদরতের পারিবারিক সুত্র জানায়, চাকুরী সংক্রান্ত নিয়ে স্থানীয় এক প্রভাবশালী কুদরতের বিরুদ্ধে হয়রানী মুলক মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে অসহায় দপ্তরী কুদরত। মামলা চালিয়ে সব হারিয়ে তার ভিটেমাটি ছাড়া কিছুই নেই। এক পর্যায়ে মামলায় পড়ে দুশ্চিন্তায় স্ট্রোক করে মারা যায় কুদরত। স্বামীকে হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে যখন নিঃস্ব, তখনই পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ রানা । তিনি খাদ্যসামগ্রী ও নগদ আর্থিক সহায়তা করেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ রানা জানান, কুদরত মারা যাওয়ার খবর পেয়ে তার বাড়িতে গিয়ে তাৎক্ষণিক নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়। কুদরত মারা যাওয়ার পর অসহায় হয়ে পড়ে তার তিন সন্তান সহ তার স্ত্রী। কুদরতই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল। কুদরতের ভিটেমাটি ছাড়া কিছুই নেই । পরে আমি সহ আমার সহকর্মী ও শিক্ষা পরিবারকে নিয়ে ৩লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা সংগ্রহ করি। সেই টাকা অসহায় কুদরতের স্ত্রী সন্তানদের হাতে তুলে দেয়া হলো। আশা করি, এতে তার কিছুটা হলেও উপকার হবে। অসহায় এ পরিবারকে কিছুটা সহযোগিতা করতে পেরে আমি আনন্দিত। এ সহায়তা পেয়ে অসহায় কুদরত উল্লার স্ত্রী আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, এই দুর্দিনে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মাসুদ রানা স্যার, পাশাপাশি শিক্ষকগন, আমার স্বামীর সহকর্মী দপ্তরিগন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন। আমি তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com