স্পোর্টস ডেস্ক: নিউজিল্যান্ড বড় কঠিন জায়গা। হালে ভারত সেখানে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও কথাটা মিথ্যে হয়ে যাচ্ছে না। সেখানে বাংলাদেশ কখনো কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি। তবে গতকাল দুপুরে কিউইদের মাটিতে সিরিজ খেলতে উড়াল দেওয়ার আগে বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডস আশার কথা শুনিয়ে গেলেন। জয়ের আশা তার। তবে এই সফর তার চোখে বিশ্বকাপ সামনে রেখে নিজেদের অবস্থান বোঝার।
এবারের সফরটা তিন ওয়ানডে ও তিন টেস্টের সিরিজের। ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম ওয়ানডে। ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু টেস্ট সিরিজ। ২০০১ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে খেলা ২১ ম্যাচের প্রতিটি হেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সাত টেস্ট, ১০ ওয়ানডে এবং চারটি টি-টোয়েন্টি। গতকাল ওয়ানডে দলের আট খেলোয়াড়ের সঙ্গে কোচ রোডস আর ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট উড়াল দিলেন। বাকি সাতজন বিপিএল শেষ করে শনিবার দেশ ছাড়বেন।
বিমানবন্দরে কোচ রোডস বলে গেলেন, ‘আমরা আসলে বিশ্ব ক্রিকেটের কোথায় আছি আর বিশ্বকাপের লক্ষ্যে ঠিকঠাক আছি কি না তার প্রমাণ এখান থেকে পাব। টুর্নামেন্টের আগে আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেখা হবে। ওটা হবে বিশ্বকাপের আগে শেষ আঁচড়।’
জুন-জুলাইয়ের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের তিনজাতি সিরিজটা যে রোডসের চোখে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা তিনি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বারবারই বলেন। বাংলাদেশের ওয়ানডে দলটা সমীহ জাগানিয়া। আর ওটার ওপরই বেশি আস্থা ইংলিশ রোডসের। ‘কয়েকটা ম্যাচ জেতার আশা রাখি। ওখানে কয়েকটা খেলা জিততে পারলে দারুণ হবে। শেষবার তো বোঝা গেছে কাজটা সহজ না। কিন্তু খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা খুশি। খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও আনন্দিত করার মতো। আর ওয়ানডে ফরম্যাটে ভালো করতে গেলে ভেতরের এই ভালো লাগাকেই কাজে লাগাতে হবে। সুতরাং, ওয়ানডেতে আমাদের খুব ভালো করতে হবে।’ রোডস এরপর সাদা পোশাকের ক্রিকেটের প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ‘টেস্ট ম্যাচে খুব কঠিন হবে। এবার অবশ্য আমরা দেশের বাইরে খেলতে আরেকটু বেশি তৈরি হয়ে যাচ্ছি। টেস্ট ম্যাচেও ফলাফল আনার আশা করছি।’
মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন কুমার দাস ও নাঈম হাসান গতকাল চলে গেছেন। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বিপিএলের খেলার জন্য রয়ে গেছেন।
২০১৬ সালের শেষদিকে বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ সফরে নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিল। বেশিদিন আগের কথা নয়। ওই স্মৃতিটাই সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজদের মতো পারফরমারদের আশা জোগাচ্ছে। সাব্বিরের এই দলে অন্তর্ভুক্তি অনেক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। বিমানে ওঠার আগে তিনি বলে গেলেন, ‘অবশ্যই এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ। হতে পারে আমার দ্বিতীয় সুযোগ। চেষ্টা করব আগের সাব্বির রূপে ফিরে আসার জন্য। এর আগে দুবার নিউজিল্যান্ডে গিয়েছি। অভিজ্ঞতা আছে। আবহাওয়া কেমন ধারণা আছে। আশা করি দ্রুত মানিয়ে নিতে পারব ও ভালো খেলার চেষ্টা করব।’
অফ স্পিনার মিরাজ জানালেন, ‘আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। উপমহাদেশে স্পিনাররা ভালো করে, এর বাইরে গেলে স্পিনারদের ওইরকম ভূমিকা থাকে না। এটা আমাদের নিজেদের সঙ্গে নিজেদের একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা নিউজিল্যান্ডে এর আগেও গিয়েছিলাম। কন্ডিশন সম্পর্কে আমার একটু ধারণা আছে। যত দ্রুত মানিয়ে নিয়ে ভালো করা যায়, সেই চেষ্টা করব।’
Leave a Reply