নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন এর আদেশ অমান্য করে জরিমানা করায় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী আক্তার ও শায়েস্তাগঞ্জ উপ সাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা: মো: সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপীল মামলা দায়ের করেছেন চুনারুঘাট উপজেলার স্বাস্থ্য উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার বনজ কুমার হালদার। যার আপীল মামলা নং ১৬৪/ ২০ ইং । আপীল মামলা সুত্রে জানা যায়, চাকুরী সুবাদে ডাক্তার বনজ কুমারের সহিত মনোমালিন্য থাকায় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী আক্তারের নিকট। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আইন বর্হিভূত আদেশ প্রদান করেছেন বলে দাবি করেন ডাক্তার বনজ কুমার হালদার। তিনি বলেন, ডাক্তারি পাস করা সনদপত্র যাচাই বাছাই না করিয়া ও কাগজপত্র উপস্থাপনের কোনরূপ সুযোগ না দিয়া শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কুপরামর্শে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমী আক্তার গত ৩১ মার্চ যে আদেশ দিয়েছেন তাহা ন্যায় সঙ্গত নয়। যাহা আইন বর্হিভূত ও ন্যায় বিচার পরিপন্থী বলে দাবী কররেন ডাক্তার বনজ কুমার হালদার । উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল এসোসিয়েশন(বিডিএম) এর তৎকালীন সভাপতি শামছুল হুদা বড় তাদের দাবীর ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট করেন। যার রিট পিটিশন নং ২৭৩০ এ প্রেক্ষিতে বিচারপতি নাঈমা খন্দকার ও বিচারপতি জাপর আহমদ সাক্ষরিত মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত উপ- সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার Bmndc কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত পদধারী ও DMF ডিগ্রীধারীদের গ্রেফতার করা বা ভয় দেখানো যাবেনা। এমনকি তাহাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা যাবে না মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন । উক্ত রিট মামলা এখনও চলমান রয়েছে । এরপরও তিনি উক্ত রায়কে অমান্য করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এনিয়ে জেলা উপজেলা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা গেছে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার বনজ কুমার হালদার চাকরির ক্ষেত্রে সুনামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন এবং স্থানীয় এলাকায় ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সব বয়সী মানুষের কাছে তিনি অসম্ভব জনপ্রিয় একজন চিকিৎসক। এছাড়া করোনাকালীন জীবনের ঝুকি নিয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গরীব-অসহায় মানুষদের পাশে থেকে তিনি বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। এজন্য এলাকার অধিকাংশ মানুষ তাকে গরীবের ডাক্তার হিসেবে সম্বোধন করেন। উনি সাধারণ মানুষের কাছে এতটাই জনপ্রিয় যে কতিপয় ডাক্তার চেম্বার খুললেও বেশিদিন থাকতে পারেননি। কারণ রোগীরা ডা: বনজ কুমার হালদার বাবুকে বাদ দিয়ে অন্য ডাক্তারের কাছে যেত না। তিনি আরও বলেন, হিংসাত্নকভাবে ডা: সাদ্দাম হোসেন ইউএনওকে ভুল বুঝিয়ে আমাকে এমন অন্যায়ভাবে অর্থদণ্ড করানো হয়। আমি এর প্রতিকার চেয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল মামলা দায়ের করেছি। আশা করি আমি ন্যায় বিচার পাব। উল্লেখ্য গত ৩১ মার্চ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পুরানবাজারে ডা: বনজ কুমারের চেম্বারে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও তৎকালিন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার। তিনি বর্তমানে সিলেটের জকিগঞ্জের উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত আছেন। সিলেট জকিগঞ্জের উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার বলেন, আমি সেখান থেকে চলে আসছি বক্তব্য দেয়ার কিছু নাই। এ ব্যাপারে ডা: মো: সাদ্দাম হোসেন বলেন ডা: বনজ কুমার হালদারকে আমি ছিনিনা । আমি ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগীতা করেছি, জানি না সে কেন এমন করছে।
Leave a Reply