হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে তরুণীর আমন্ত্রণে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ফয়সল (২২) নামে এক কলেজশিক্ষার্থী। তিনি কোরআনে হাফেজ বলে জানা গেছে।
শনিবার রাতে দ্বিমুড়া এলাকায় প্রেমিকার পরিবারের লোকজন তার হাত ও পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে।
আহত ফয়সল চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাসারগাঁও গ্রামের আহসান উল্লার ছেলে। তিনি বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি কোরআনে হাফেজও।
ফয়সলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফয়সলের সঙ্গে বাহুবলের মিরপুর ইউনিয়নের দ্বিমুড়া এলাকার এক প্রবাসীর কন্যা একই কলেজে পড়ে। কলেজে আসা যাওয়ার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেয়েটি তার মাকে জানায় এবং ফয়সলকে পরিচয় করিয়ে দেয়। একপর্যায়ে মেয়েটির পরামর্শে মা ফয়সলকে নিমন্ত্রণ জানায়।
ফয়সল দেখা করতে গেলে মেয়েটির পরিবারের লোকজন তাকে হাত ও পা খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে তার অবস্থার অবনতি হলে তারা তাকে ডাকাত বলে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার পুলিশ এসে মুচলেকায় পরিবারের জিম্মায় দেন। পরে ফয়সলের মা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, নির্যাতনের শিকার ফয়সলের মাথার পাগড়ি দিয়ে খুঁটির সঙ্গে হাত ও পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় রাতভর নির্যাতন করে প্রেমিকার পরিবারের লোকজন।
ফয়সলের মা বলেন, মারপিটের সময় আমার ছেলের বুকে প্রচণ্ড আঘাত পায় এবং স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
বাহুবল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, শুনেছি প্রেমঘটিত বিষয়। নির্যাতনের কোনো অভিযোগ পাইনি। পুলিশ গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে তুলে দিয়েছে।
Leave a Reply