শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
কমলগঞ্জে ডাকাতি করতে গিয়ে হবিগঞ্জের ৪ যুবক আটক মাধবপুরে গ্রাহকের আমানত নিয়ে নিশান’র পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অফিসে কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ চুনারুঘাট সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৮ বস্তা গাঁজা উদ্ধার মাধবপুর জায়গা নিয়ে বিরোধ দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ মহান বিজয় দিবস আজ নবীগঞ্জে আমেরিকা প্রবাসীর জায়গার ডোবা থেকে রাতে আঁধারে মাছ চুরি করে নিয়েছে একদল দূর্বৃত্তরা বাহুবলে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের মতবিনিময় নবীগঞ্জে মালামালসহ পিকআপ ভ্যান ডাকাতি ॥ চালককে অপহরণ ॥ পুলিশের তাৎক্ষনিক অভিযানে গ্রেফতার-১ ॥ মালামাল উদ্ধার হবিগঞ্জে ঠান্ডার কারণে বাড়ছে রোগের প্রকোপ

নামাজে রুকু ও সেজদা করতে না পারলে করণীয়

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
  • ৬১০ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক:: নামাজ পরিপূর্ণ সহিহ ও শুদ্ধ হওয়ার জন্য আরকান-আহকামগুলো যথাযথ পালন করা জরুরি। যেমন- নামাজের জন্য দাঁড়ানো, যথাযথভাবে রুক ও সেজদা আদায় করা ইত্যাদি।

যারা রোগী মুসাফির কিংবা ভীত তাদের ব্যাপারে হুকুম ভিন্ন। আল্লাহর রহমতের বহিঃপ্রকাশ যে তিনি রোগী, মুসাফির কিংবা ভীত লোকদের জন্য নামাজ আদায়ে ছাড় দিয়েছেন। অর্থাৎ তাদের নামাজ আদায় করতে হবে না, বিষয়টি এমন নয়। বরং নামাজ আদায়ে তাদের যে সমস্যাগুলো হবে, তা বিকল্পভাবে আদায় করবে। যার ফলে তাদেরকে আল্লাহ তাআলা নামাজের পরিপূর্ণ সাওয়াব থেকে মাহরূমও করবেন না।

ক্ষমতা অনুসারে অক্ষম ব্যক্তিকে নামাজ আদায় করতে হবে। কিন্তু যারা রুকু ও সেজদা যথাযথভাবে আদায় করতে পারে না, তারা কী করবে? তারা কি বিনা রুকু ও সেজদায় নামাজ আদায় করবে? চাই সে দাঁড়াতে কিংবা বসতে সক্ষম অথবা অক্ষম। এ ব্যাপারে রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা।

কোনো রোগী যদি দাঁড়াতে বা বসতে সক্ষম না হয় তবে শুয়ে শুয়ে নামাজ আদায় করবে। প্রচলিত নিয়মে রুকু কিংবা সেজদার করতে না পারলে মাথা, মুখ কিংবা চোখের ইশারায় সেজদা আদায় করবে।

রোগী যদি দাঁড়াতে কিংবা বসতে সক্ষম হওয়া যথা নিয়মে রুকু ও সেজদার সঙ্গে নামাজ আদায়ে অক্ষম ব্যক্তির জন্য রয়েছে অনেক ছাড়। আর তাহলো-

> রোগী যদি দাঁড়াতে ও বসতে পারে কিন্তু রুকু ও সেজদা করতে না পারে তাহলে দাঁড়ানো অবস্থায় ইশারা করে রুকু এবং বসা অবস্থায় ইশারা করে সেজদা করবে।

> যে ব্যক্তি জমিনের উপর সেজদা করতে অক্ষম সে বসে বসে রুকু ও সেজদা করবে। তবে সেজদার সময় রুকুর চেয়ে বেশি নিচু হবে। উভয় হাত হাঁটুর উপরে রাখবে।

> রোগীর জন্য অন্যান্যদের মতো কেবলামুখী হওয়া আবশ্যক। যদি তার কেবলামুখী হতে সমস্যা হয় তবে তার অবস্থা হিসাবে যে দিকে সহজ হয়, সে দিকে হয়ে আদায় করবে।
তবে রোগীর যদি জ্ঞান থাকে কিন্তু কোনো হাত, মাথা, দৃষ্টি কিংবা আঙ্গুল কোনোটি সচল তাকে, তবে যে অঙ্গ সচল থাকে তা দ্বারাই ইশারার মাধ্যমে হলেও নামাজ আদায় করতে হবে।

বিশেষ করে
শারীরিক বিশেষ সমস্যার কারণে যদি ধর্মীয় জ্ঞান থাকা বিজ্ঞ চিকিৎসক দাঁড়ানোর পরিবর্তে বসে এবং উপুড় হয়ে রুকু না করতে কিংবা জমিনে মাথা রেখে সেজদা না করতে পরামর্শ দেয়, তবে তার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণে কোনো বাধা নেই।

সাধারণ অবস্থায় কাবার দিকে পা রেখে নামাজ আদায় বৈধ নয় কিন্তু অপারগ ব্যক্তির জন্য তা বৈধ। সুতরাং রোগ, মুসাফির কিংবা ভীতু লোকের জন্য নামাজে ছাড় নয়; বরং যে যে অবস্থায় থাকবে সে অবস্থার আলোকে নামাজ আদায় করতে হবে। আর এমনটিই আল্লাহ তাআলার বিধান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com