ডেস্ক রিপোর্ট: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘প্রশ্নফাঁস বন্ধে নানা রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, কঠোর নজরদারি রয়েছে। প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তারপরও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
রোববার ঢাকার বকশিবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
দীপু মনি বলেন, ‘শনিবার বিভিন্ন জেলায় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন বিতরণে ভুল ধরা পড়েছে। ২০১৮ সালের প্রশ্ন বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। আমাদের নজরদারি যেভাবে চলছিল তা অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ভুল ও অসঙ্গতি বিষয়ে যেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল, তা নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নফাঁস রোধে যা যা করা প্রয়োজন সব করা হচ্ছে। আশা করি, আর প্রশ্নফাঁস হবে না। প্রশ্নফাঁস রোধে মিডিয়া ও অভিভাবকদের সহযোগিতা চান মন্ত্রী।’
পরীক্ষা শুরুর পরে ফেসবুকসহ অনলাইনে প্রশ্ন পাওয়া যাচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোনো পরীক্ষার্থী ইচ্ছা করলে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পর বের হয়ে যেতে পারে। হয়তো এভাবেই প্রশ্নটি বাইরে এসেছে। তবে ১ ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়েই কেউ বের হতে চাইলে তাকে দায়িত্বরত শিক্ষকের কাছে প্রশ্নপত্র জমা দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হতে হবে।’
এর আগে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বকশিবাজারে মাদ্রাসা-ই-আলিয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা।
সবাই কেন্দ্র পরিদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে পরীক্ষা-সংক্রান্ত সার্বিক দিক তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শনিবার সারা দেশে একযোগে শুরু হয় মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ না পাওয়া গেলেও পরীক্ষা চলাকালেই পরীক্ষাটির বহুনির্বাচনী প্রশ্ন এবং সৃজনশীল প্রশ্ন ফেসবুকে পাওয়া গেছে। পরীক্ষা শেষে আসল প্রশ্নের সঙ্গে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মিল না পাওয়া গেলেও সৃজনশীল প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
Leave a Reply