নুর উদ্দিন সুমন: গত ৭ জুলাই শায়েস্তাগঞ্জে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইনে জড়িয়ে দু’পা হারালো শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামী একাডেমীর চতুর্থ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী নদী আক্তার (১০)। শুধু তাই নয় সে এখনও রয়েছে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এছাড়াও ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে নদীর পরিবার। শিরোনামে, সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যার নির্দেশে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা নেয়া হয়। মামলা রুজুর দুইঘন্টার মধ্যে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মো: মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে এস আই কমলা কান্তসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী মর্জিনা খাতুন(৩৫) সে উপজেলার ষ্টেশন রোডের মৃত আব্দুর রাজ্জাক সবুজের স্ত্রী। উল্লেখ্য গত ১৫ মে সন্ধ্যায় নদীসহ তার এক সহপাঠী পার্শ্ববর্তী মর্জিনা খাতুনের মালিকানাধীন ভবনের ছাদে বিদ্যুতের মেইন লাইন থেকে আনা খোলা অবস্থায় ছাদে ফেলে রাখা তারের সাথে জড়িয়ে যায় । পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল পরে সিলেট হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার দুটি পা হাটু পর্যন্ত কেটে ফেলা হয়। বর্তমানে নদী শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভর্তি রয়েছে। শিশুটি মৃতুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। মেধাবী ছাত্রী বাঁচতে চায়। পিতার আকুতি তবে টাকার অভাবে ওই ছাত্রীর চিকিৎসা প্রায় বন্ধ হাওয়ার উপক্রম বলে জানিয়েছে তার পিতা। নদীর পিতা রফিক মিয়া জানান, তার মেয়ের চিকিৎসা বাবদ এখন পর্যন্ত প্রায় প্রচুর টাকা খরচ গিয়েছে। আরও অনেক টাকা দরকার গরিব হওয়ায় এত টাকা তাদের পক্ষে সংগ্রহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মেয়কে বাঁচাতে চিকিৎসা সহায়তা চাইছেন সমাজের বিত্তবানদের কাছে। এ বিষয়ে নদীর পিতা রফিক মিয়া বলেন, আমার মেয়ের দুইটি পা নেই আমার পৃথিবী অন্ধকার তবে আসামী গ্রেফতার শুনে মনে কিছুটা শান্তি পেয়েছি। আসামী দ্রুত গ্রেফতার করায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার ও শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ মো: মোজাম্মেল হোসেন।
Leave a Reply