কামরুজ্জামান আল রিয়াদ, শায়েস্তাগঞ্জ: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের পানি নিষ্কাশনের খালটি ভরাট করে সরকারি সড়কের পাশে দালান ভবন করায় বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে হাটু পানি। এই পানি বাড়ির উঠুনে পর্যন্ত প্রবেশ করে। ফলে গ্রামের লোকজনের চলাফেরা মারাত্মকভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে। গ্রামবাসী পানিবন্দীর চিত্র বেসরকারি টেলিভিশনসহ পত্র পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার হওয়ায় সর্বমহলের নজরে পড়ে। অবশেষে ভরাট হওয়া খাল উদ্ধার করে ড্রেন নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নির্দেশে শুক্রবার (১৯ জুন) সকালে উপজেলার চানপুর গ্রাম পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার ও ভূমি সহকারি কমিশনার মাশফিকা হোসেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নুরপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসাক আলী সেবন,শায়েস্তাগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুজ্জামান আল রিয়াদ, পাঁচগ্রাম নেতা মোঃ আব্দুল মালেক সহ আরো অনেকেই।
এসময় চানপুর গ্রামের ভোক্তভূগি লোকজন ও বাছিরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন উপজেলা প্রশাসন। উভয় পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে উঠে এসেছে গ্রামের পানি নিষ্কাশনের পক্ষে সবাই, তবে খাল ঘেষে যারা দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন তারাও খালটি উদ্ধার করার পক্ষে। এজন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে এক মাস সময় দাবী করেন ব্যবসায়ীরা।
এক পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসন মাঠ জরিপের লোকজনকে দিয়ে সরকারি জায়গার ভেতরে ভরাট হওয়া খালটি মাপ দিয়ে উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ভরাট হওয়া খালটি ৫ ফুট পরিমানে উদ্ধার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যতায় জেলা প্রশাসকের আদেশ অনুযায়ী সরকারি জায়গায় নির্মিত দোকানঘর ভুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে খাল উদ্ধার করা হবে।
এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ তালুকদার বলেন- নিজ উদ্যোগে খালটি পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে খালের উপরে যেসকল দোকান ঘর রয়েছে সেগুলো ভেঙ্গে পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশন করতে এবং পরবর্তীতে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও আগামীতে রাস্তা কিংবা খালের পাশে ঘর নির্মাণ করতে হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমোদ নিয়ে ঘর তৈরী করার পরামর্শ দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার সুমী আক্তার বলেন- সরকারি জায়গার খাল ভরাট করে যারা দোকানঘর তৈরি করে পানি নিষ্কাশনে বাঁধা সৃষ্টি করেছেন তারা আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় খাল পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবেন। অন্যতায় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
Leave a Reply