ডেস্ক রিপোর্ট: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে কলেজ এডুকেশন ডেভলাপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) এর আওতায় সারাদেশে ১ হাজার ৪০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত অনার্স/মাস্টার্স পর্যায়ে পাঠদানকারী নির্দিষ্ট সংখ্যক কলেজকে শিখন-শিক্ষণ পরিবেশের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে এ প্রকল্প । এ প্রকল্পে স্থান পাচ্ছে সিলেট অঞ্চলের ১২২টি কলেজ। প্রাথমিকভাবে সিলেট এমসি কলেজ ও মদন মোহন কলেজ ৮ কোটি টাকা করে বরাদ্দ পাচ্ছে। এই অর্থ দিয়ে শিক্ষকদের দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে ক্যাটাগরি ভিত্তিতে সবকটা কলেজ এই বরাদ্দ পাবে।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় সিলেটের মুরারি চাঁদ কলেজ (এমসি কলেজ) অডিটোরিয়ামে ‘কলেজ পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন মঞ্জুরী’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরো জানান, প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে ইন্সটিটিউশনাল ডেভলাপমেন্ট গ্রান্ট (আইডিজি) প্রদান করা হবে। সেমিনারে জানানো হয় এ প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে কলেজ শিক্ষার মান উন্নয়নে এটি প্রথম প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে গৃহীত সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। সারা দেশে এ প্রকল্পের অধীনে ১৬ হাজার ৫৭৫ জন কলেজ শিক্ষককে দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য় ড. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে ও এমসি কলেজ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর শামীমা চৌধুরীর উপস্থাপনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহামুদ উল হক, গ্লোবাল এডুকেশন প্র্যাকটিস, বিশ্বব্যাংক এর টাস্ক টিম লিডার ড. মো. মুখলেছুর রহমান, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র চন্দ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সিলেট অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর হারুনুর রশিদ। উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট জেলা প্রশাসক কাজী এম. এমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠিত সেমিনারে ড. মোমেন বলেন, দেশের জন্য মানব সম্পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পদকে কাজে লাগাতে না পারলে তা অভিশাপে পরিণত হয়। বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪৯ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। দেশের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এবং দেশের উন্নয়নে তাদের মেধাকে কাজে লাগাতে তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে লেখাপড়ায় সিলেটের অবস্থান এক সময় খুবই ভাল ছিল। এখন অন্যান্য এলাকার চেয়ে এ অঞ্চলের অবস্থান নিম্নে রয়েছে। ইহা থেকে উত্তরণের জন্য এ অঞ্চলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরো বাড়াতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন বিগত ১০ বছরে যা হয়েছে তার চেয়ে আরো বেশি প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Leave a Reply