বিগত ৩জুন ২০২০ ইং তারিখে দৈনিক কালের কন্ঠ ও সুনামকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত “ভাতা আত্মসাৎ ১১ বছর ধরে” শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হইয়াছে তাহা মিথ্যা, কাল্পনিক, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিত্তিহীন । প্রকৃত পক্ষে আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের একজন সৎ নাগরিক বটে। আমি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের একজন সক্রিয় সদস্য এবং উক্ত কমান্ডের জন্মলগ্ন হইতে আজ অবধি সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সংগে নিজ দায়িত্ব সর্বদা সচেতনতার সংগে পালন করিয়া আসিতেছি। বিগত ০৩/০৬/২০২০ ইং তারিখে দৈনিক সুনামকণ্ঠ পত্রিকার ১নং পৃষ্ঠায় আমার বিরুদ্ধে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নাঈমুল্লাহ -এর স্ত্রী মোকসেদা বেগম এর “ভাতার টাকা আত্মসাৎ ১১ বছর ধরে” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছে তৎগর্ভে ভাতার বই, চেক বই ও টাকা এবং ঘর নির্মাণের রড-সিমেন্ট আত্মসাদের সে সংবাদটি নিহিত;- তাহা আমার জ্ঞানত সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বটে। উক্ত সংবাদের তথ্য প্রদানকারী কর্তৃক আমার শত্রু লোকের নিকট হইতে প্রাপ্ত অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে কোনরূপ সত্যতা যাচাই না করিয়াই আমাকে ফাঁসানো এবং ফায়দা হাসিলের অসৎ অভিপ্রায়ে মিথ্যাভাবে সংবাদ পরিবেশন করা হইয়াছে। উল্লেখ করা অতি আবশ্যক যে, প্রথমত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ৩০০/- টাকা ছিল, তারপর ৫০০/- টাকা তারপর ২০০০/- টাকা। বিগত দুই বৎসর যাবৎ চেক দ্বারা ভাতা উত্তোলন করার প্রক্রিয়া চলমান রহিয়াছে। সুতরাং কিভাবে ১১ বছর ধরে চেক দ্বারা টাকা উত্তোলন করা হয়Ñ তাহা বোধগম্য নহে। তাহা ছাড়া ১১ বছর ধরে কেউ যদি ভাতা বঞ্চিত হয়Ñ তবে অনেক পূর্বেই আত্মসাতকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে করা যাইত। দীর্ঘ বিলম্ব সন্দেহের কারণ এবং অযৌক্তিকও বটে। তাহা ছাড়া ঘর নির্মাণের সামগ্রী ঠিকাদারের অধীনে থাকে বিধায় তাহা কোন লোক কর্তৃক আত্মসাত হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। আরো উল্লেখ করা আবশ্য যে, সংবাদের কথিত মতে আমি কিংবা আব্দুল মজিদ বর্ণিত মোকসেদার নিকট হইতে তাহার উত্তোলিত ঋণের কোনো টাকা-পয়সা কিংবা তাহাকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ পাওয়াইয়া দেওয়া কথা বলিয়া কোন টাকা-পয়সা কখনও গ্রহণ করি নাই। আরো উল্লেখ করা আবশ্য যে, বর্ণিত প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মোকসেদা আমার স্ত্রীকে মা ডাকার কারণে মোকসেদা যখনই সাংসারিক বিপদাপন্ন হইত তখনই আমার বাড়ীতে আসিয়া চাউল, আলু ও অন্যান্য নিত্যপণ্য নিয়া যাইত এবং একসময় উক্ত মোকসেদা আমার নিকট হইতে তাহার সন্তান অসুস্থ ও হাসপাতালে থাকায় ফেরত প্রদান করিবে বলিয়া নগদ ৫০০০/০০ টাকা নিয়া আজ অবধি পরিশোধ করে নাই। সর্বোপরি, একজন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসাবে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আমি বর্ণিত মোকসেদাকে সর্বোতোভাবে সাহায্য সহযোগীতা করিয়া আসিতেছি এবং নৈতিক দায়িত্ব পালন করিতেছি। আমি বর্ণিত মোকসেদার কোন ভাতা বই কিংবা চেক বই কখনও নিজের নিকট রাখি নাই। কতিপয় শত্রুলোকের ষড়যন্ত্রের শিকার মাত্র। আমি কখনও কোন ধরনের আত্মসাৎ কিংবা নিয়ম বিরোধী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের সংগে কোনভাবেই জড়িত নই। ষড়যন্ত্রকারীরা আমার সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মান-মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত করার দূরভিসন্ধিতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, কাল্পনিক, বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করাইয়াছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
প্রতিবাদকারী (জাফর আলী মাস্টার)বীর মুক্তিযোদ্ধা
মুক্তিবার্তা নং : এম০৫০২০১০৬৮৬ জি ৪৭৬৭
সাকিন নতুন পৈন্দা ইউ.পি : মোহনপুর উপজেলা-থানা : সুনামগঞ্জ সদরজেলা : সুনামগঞ্জ।
Leave a Reply