নুর উদ্দিন সুমন : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের দক্ষিণ নরপতি গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। কম খরচে লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষীরা। পাশাপাশি মনোমুগ্ধকর এই ফুল দেখতে ভীড় করছেন সৌন্দর্যপ্রেমীরা। যতদূর চোখ যায়, মনে হয় বিশাল আয়তনের হলুদ এক গালিচা। চোখে পড়ে শুধু সূর্যমুখী। এই ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে মনোরম দৃশ্য স্মৃতির ফ্রেমে বন্দি করছেন অনেকেই। খবর পেয়ে চুনারুঘাট সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাউছার বাহারের কৃষি জমিতে গড়ে উঠা এই সূর্যমুখী বাগান পরিদর্শনে আসেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: কামরুল হাসান ও তার সহধর্মিনী মাহমুদা খাতুন। পরিদর্শনে এসে তিনি ফুলের বাগানটি ঘুরে দেখেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃশি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: তমিজ উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সত্যজিত রায় দাশ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো: কাউছার বাহার, প্রেসক্লাব সভাপতি মো: কামরুল ইসলাম বাহার, এডভোকেট মোস্তাক বাহার, তাজুল বাহার, সাংবাদিক খন্দকার আলাউদ্দিন প্রমুখ। চাষি মো: আব্দুল মুকিত জানান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সহায়তায় ১বিগা জমিতে সূর্যমুখী গাছ রোপণ করেন তারা। আবহাওয়া ও মাটি উপযোগী হওয়ায় সূর্যমুখী ফুল চাষে সাফল্যও আসে। পাশাপাশি ফুল থেকে উৎপাদিত তেল ও বীজ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন অনেকেই। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নিজ জমিতে বাগানে ফুটে থাকা হলুদ সূর্যমুখী ফুলের সমাহারে এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। ফুলের সমাহারে চারদিকে হলুদ রঙের ফুলের মনমাতানো ঘ্রাণ আর মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে চেয়ারম্যানের ফুলের বাগানটিতে। এটি যেন ফসলী জমি নয়, এ এক দৃষ্টিনন্দন বাগান। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অবলোকনে শুধু প্রকৃতিপ্রেমীই নয় বরং যে কারো হৃদয় কাড়বে। প্রতিদিন বিকেলে আশপাশ এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিয়াসুরা দল বেধে আসেন এই সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে। অনেকেই বাগানে ঢুকে শখ করে ছবি তুলেন। এ যেন এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। শখের বশে দক্ষিণ নরপতি গ্রামের মরহুম হাবিব উল্লাহ বাহারের পুত্র সদর ইউনয়নের চেয়ারম্যান মো: কাউছার বাহার সূর্যমুখী বাগানটি তৈরি করেন। সূর্যমুখী ফুল চাষিদের বিভিন্ন সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কৃশি কর্মকর্তা মো: জালাল উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, সূর্যমুখী ফুল চাষিরা আবাদ করে যাতে লাভবান হতে পারে এজন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকি।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক পথশিশুদের মাঝে খেলার সামগ্রী তুলে দেন। পরে চেয়ারম্যান কাউছার বাহারের বাড়িতে সকল অতিথিদের নিয়ে সপরিবারে কিছু সময় কাটান।
Leave a Reply