স্টাফ রিপোর্টারঃ সরকার ২৩ ডিসেম্বর সোমবার থেকে সারাদেশব্যাপী একযোগে খাল, নদী-নালা, বিল, নদীপাড়ের অনুনোমোদিত দখল উচ্ছেদে জেলা-উপজেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এছাড়াও হবিগঞ্জ খোয়াই ঝিলমিল প্রকল্পের চলমান উচ্ছেদ অভিযানে শীঘ্রই অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হবে।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ আদালতও অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রমে সরকারের কঠোর নির্দেশ বাস্তবায়নে নদী কমিশনও মনিটরিং করছে। হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী এমএল সৈকত জানান, উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে ২৩ ডিসেম্বর চুনারুঘাটের মরা খোয়াই’র ২৩ শত মিটার (লম্বা) ভূমি থেকে সকল প্রকারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হবে।
অপর এক প্রশ্নোত্তরে তিনি জানান, দু’হাজার কোটি টাকার খোয়াই রিভার সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পে জনবল বিষয়ক ২৭ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রনালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ৯ জন নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী সপ্তাহে উক্ত প্রকল্পের উপর পরিকল্পনা কমিশনের এ্যাপরেজাল সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা জানান, খোয়াই ঝিলমিল প্রকল্পের ভিতরের অবৈধ স্থাপনা লাল রং ক্রস দিয়ে চিহ্নিত করণ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা, গাছ, ঝোপ, জঙ্গল নিজেরা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। শীঘ্রই একাধিক এক্সেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হবে।
খোয়াই ঝিলমিল প্রকল্পের প্ল্যান কাগজাদি পর্যবেক্ষণক্রমে ওয়াকিবহাল সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন জানান- ‘খোয়াই ঝিলমিল’ প্রকল্পটি ঢাকার হাতিরঝিলের অনুকরণে বাস্তবায়ন হবে। হবিগঞ্জ পৌরসভা অভ্যন্তরে ‘খোয়াই ঝিলমিল’ বিনোদন ও দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দৃশ্যমান হবে উভয়পাড়ে ১৪ ফুট রাস্তা, সৌন্দর্য বর্ধনে গাছ লাগানোর স্থান, র্যালিংসহ দেয়াল নির্মাণ, ড্রেনের উপর ওয়াকওয়ে ও ব্লক দ্বারা ঢাল সংরক্ষণ করে স্থানে স্থানে ১০টি দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ ও মধ্যের ১০০ ফিট মাটি খনন করা হবে। ডায়াবেটিস হাসপাতাল থেকে নোয়াবাদ-হরিপুর পর্যন্ত গড়ে ১ শত ৫০ ফিট প্রশস্থ ‘খোয়াই ঝিলমিল’ এলাকাটি পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় ও আকর্ষনীয় স্থান হিসাবে দেশ বিদেশে পরিচিতি লাভ করবে।
Leave a Reply