শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন

চুনারুঘাটে আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হল হেমন্ত পিঠা উৎসব

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৩১৮ বার পঠিত

নুর উদ্দিন সুমন : আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হল হেমন্ত পিঠা উৎসব। ক্ষণিকের জন্য উৎসবটি জমজমাট হয়ে উঠে। প্রতিবছরের মত এবারো নানা রংয়ের পিঠা তৈরী করে নিয়ে আসেন উপজেলা বিভিন্ন দপ্তর কর্তৃপক্ষ। সকাল থেকেই শুরু হয় পিঠা মেলার উৎসবের প্রস্তুতি। দুই শতাধিক লোকজন অংশগ্রহণে জমজমাট রূপ ধারণ করে পিঠা মেলার এ উৎসব। (২৫নভেম্বর) সোমবার উপজেলা পরিষদ মাঠে পিঠা মেলার উৎসবটি আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। দুপুর আড়াই টায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পিঠা উৎসব মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর, এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নুসরাত ফাতিমা, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান মহালদার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ রানা, উপজেলা এলজিডি অফিআর মিশুক দত্ত, সমাজ সেবা কর্মকর্তা বারেন্দ্র রায়, প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) প্লাবন পাল, মৎস্য কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইয়াছমিন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, ইন্সট্রাকটর খায়ের উদ্দিন মোল্লা,তথ্য সেবা কর্মকর্তা সোনালি রানী,কিশোর কিশোরী ক্লাব কর্মকর্তা রোমানা মুক্তাসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিক্ষিকা ও নানা শ্রেণী পেশার লোকজন উৎসবে অংশ নেন। মেলার পিঠা আয়োজনে বাছাইয়ে ১ম স্থান হয়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পিঠার স্টল
২য় স্থান ঘোষনা হয় উপজেলার সকল কর্মকর্তার সহধর্মীনিরদের স্টল প্রত্যকটি স্টলের দলনেতা অতিথিদের কাছ থেকে পরুস্কার গ্রহণ করেন। এদিকে পিঠা উৎসবে নানা পিঠার সমাহার নিয়ে হাজির ছিলেন গৃহবধূসহ তরুণীরা। পিঠা উৎসবের মূল আয়োজক ছিল উপজেলা প্রশাসন আয়োজকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসের নাজির কৃষ্ণ কুমার সিংহ। প্রধান অতিথি আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর বলেন ‘প্রতি বছরই আমরা পিঠা উৎসব করে থাকি। ঋতুবৈচিত্র্যের এ দেশে শীত আমাদের অনেকের কাছেই প্রিয়। বাঙালি ঐতিহ্যগত কারণে এ ঋতুর সঙ্গে পিঠার অন্যরকম যোগসূত্র আছে। তাই শীতকে আমরা বরণ করে নিই এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে। উৎসবে প্রবেশ মুখেই নানা পিঠার স্টলগুলো ঘুরে দেখা গেল দেশের ঐতিহ্যের নানা রকম পিঠা। পুলি, ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, মাংস পিঠা, নকশা, পাকন, ফুলের পিঠা,ফুল পাপড়া, ডাইলের পিঠা, নারিকেল পিঠা, সন্দেশ পিঠা,ডিম প্রভৃতি পিঠার সমাহার। উৎসবে প্রায় ৩০টি স্টলের পিঠার সমাহার যেমন ঠিক তেমনি পিঠার নামও দেখা গেল বৈচিত্র্যময়।কর্মকর্তাদের সাথে পিঠা খাচ্ছেন নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত ফাতিমা

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত ফাতিমা বলেন, আমাদের মেলার মোট ৩০টি স্টল ছিল এতে নানা রকম পিঠা বিক্রি হয়েছে ‘পিঠা উৎসবে প্রচুর শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ নানা শ্রেণী পেশার লোকজনের সমাগম ঘটে। এর আয়োজক উপজেলা প্রশাসন হলেও উপজেলা সকল দপ্তরের সমাগমে উৎসব প্রাণচাঞ্চল্য পায় আমাদের এ মেলা প্রতিবছর অব্যাহত থাকবে। কথা হলো মেলায় অংশগ্রহণ করা পিঠার স্টলের দলনেতাদের সঙ্গে তারা বলেন, আমরা এবার বিভিন্ন পিঠা নিয়ে আমাদের স্টল সাজিয়েছি। এর মধ্যে ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, ডিম পিঠা অন্যতম। এর সঙ্গে যোগ করে মহিলা অধিদপ্তরে রুমানা বলেন ঝালমুড়ি, মাংস পিঠা, শামুক পিঠা, সূর্যমুখী, নকশা, পাকন পিঠা। মেলা শুরুতে ঘন্টার মধ্যেই আমাদের সব পিঠা বিক্রি হয়ে গেছে। আমাদের পিঠাগুলোর দাম ছিল সাধ্যের মধ্যেই।’ উৎসবে অংশগ্রহণ করা অন্য পিঠা স্টলগুলোতেও ছিল পিঠার বৈচিত্র্য। উৎসবে আসা প্রধান অতিথি আলহাজ্ব আব্দুল কাদির ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত ফাতিমা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন পিঠা খেয়ে দেখেছেন।
তিনি বলেন পিঠা উৎসব আমাদের দেশের ঐতিহ্য । আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে এ উৎসবে অংশগ্রহণ করে। মেলায় আগত শিক্ষার্থী খাদিজা বলে এ রকম উৎসবে সবার সঙ্গে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। ষড়ঋতুর এ দেশে শীত অন্যরকম এক ঋতু। তবে এ পিঠা উৎসব সেই কষ্টের কিছুটা হলেও লাঘব করেছে। সব সহপাঠীর সাথে শীতের পিঠা খাচ্ছি, এর মজাই আলাদা। পরে নিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করে গান পরিবেশন করেন চুনারুঘাট সাহিত্য – সংস্কৃতি পরিষদ অঙ্গন ব্রান্ডের শিল্পিরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com