শেখ মোঃ হারুনুর রশিদ।। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযানে ১৩টি আরপিজি গোলা (রকেট লঞ্চারের গোলা) ১১ টি চার্জার ও বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ryab-সেনাবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং র্যাবের একটি দল সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৩ রাউন্ড আরপিজি গোলা এবং কিছু বিস্ফোরক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদল উদ্ধারকৃত গোলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য ধ্বংস করেছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র্যাব সিলেট ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পর দু’টি গাড়িতে করে বেশ কয়েকজন র্যাব সদস্য উদ্যানে প্রবেশ করে। গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে অভিযান চলছে। তবে সেখানে অস্ত্র অথবা অন্যকিছু উদ্ধার হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। অভিযানে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযানের বিষয়ে জানানো যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিন গানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করেন র্যাবের সদস্যরা।
এরপর, ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহীন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিন গান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজি’র আট হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি নট ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আবারও সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়।
Leave a Reply