বানিয়াচং সংবাদদাতা ॥ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ বিপিএম বলেন ‘মাদক আর জঙ্গি, এ দুই দানবকে ধ্বংস করতে পারেলই দেশ এগিয়ে যাবে’। তিনি বলেন, মাদক একটি মরণ ব্যাধী, এটি একটি প্রজন্মকে ধ্বংস করে। একটি পরিবারকে ধ্বংস করে। কোন এক সময় শুধু মাদক, গাজা ছিল। এখন হেরোইন, পেনসিডিল, ইয়াবা যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে ইয়াবা সেবনকারীরা টাকা যোগাড় করার জন্য বিভিন্ন ধরণের খারাপ কাজ করে পরিবারসহ সমাজের শান্তিপ্রিয় লোকদের সমস্যা তৈরী করছে। তিনি বলেন, পুলিশ এই সমস্যা পুলিশ সমাধান করবে। এইজন্য সাধারণ জনগণের সহযোগিতা করতে হবে। তিনি বলেন, পুলিশের একার পক্ষে মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এ জন্য সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।
বানিয়াচঙ্গে জঙ্গি, মাদক, দাঙ্গা বিরোধী ও কমিউনিটি পুলিশিং এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ বিপিএম (সেবা) উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। সন্ধ্যার পর কোন ভাবেই যেন আপনাদের সন্তানগন ঘরের বাহিরে না যায় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এটি অভিভাবকের দায়িত্ব। পরিবার ও ধর্মীয় শিক্ষাগুরু মাদকের কুফল এর বিষয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের সচেতন করতে হবে। তিনি বলেন, হবিগঞ্জ এখন শিল্পোন্নত জেলা। পূর্বে হবিগঞ্জ ছিল সিলেট বিভাগে চার নাম্বার জেলা। বর্তমানে এটি ১ নাম্বার জেলা। এখানে প্রায় ১৫০ টি শিল্প কারখানা আছে। যেখানে ৫ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা বেতনে চাকুরী করে দেশী বিদেশী লোক। এখানে হাওড়, বাওড়, চা বাগান, শিল্প এলাকা আছে। হবিগঞ্জ নিয়ে সকলে গর্ব করতে পারবেন। কিন্তু একটি কলংক আছে, আর সেটি হচ্ছে দাঙ্গা। এটি যদি না থাকত তাহলে হবিগঞ্জ হতো ১০০% নিখুত জেলা। চাদের কলঙ্কের মতো দাঙ্গা হচ্ছে হবিগঞ্জের কলঙ্ক। তাই হবিগঞ্জ থেকে মাদক ও দাঙ্গাকে চিরতরে নির্মুল করে হবিগঞ্জকে শুধু সিলেটের নয় বাংলাদেশের মধ্যে সেরা জেলা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। তিনি বলেন, টুপি, দাড়ি দেখলে আগে মানুষ সালাম করত, আর এখন সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে। জঙ্গীবাদকে বাংলাদেশ পুলিশ দমন করতে সক্ষম হয়েছে। এই সাফল্যের পিছনে মুল ভূমিকা সাধারণ জনগণের। জঙ্গী দমনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে। জঙ্গীবাদ দমন করতে না পারলে বর্তমান সরকারে সাফল্য ম্লান হয়ে যেত। বাংলাদেশ আফগানিস্তান, পাকিস্তান হয়ে যেত। জঙ্গীবাদ দমন করতে না পারলে বিদেশী বিনিয়োগ সহ দেশী শিল্প প্রতিষ্টান ও তাদের বিনিয়োগ অন্যত্র সরিয়ে নিত।
বিথঙ্গল পুলিশ ফাড়ির আয়োজনে উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদ মোবারক। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বানিয়াচং সার্কেল শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এসএম ফজলুল হক। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক আহমেদসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
Leave a Reply