স্টাফ রিপোর্টার।।চুনারুঘাট উপজেলার চাটপাড়া গ্রামের তালুকদার মহল্লা জামে মসজিদের মুসল্লী চাটপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক(আরবী)মুসলেহ উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করেছে একই মসজিদের মোয়াজ্জীন প্বার্শ্ববর্তী পনারগাঁও গ্রামের মুক্তার মিয়া।গত শুক্রবার জুম’আর নামাজের আগ মুহুর্তে মসজিদের ভিতরেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে।মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,মুক্তার মিয়া অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক।মসজিদ কমিটির কোন অনুমতি না থাকলেও মুক্তার মিয়া বাহুবল দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক মোয়াজ্জীনের দায়িত্ব পালন করে আসছে।মসজিদ কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন,গত কয়েক মাস যাবত সে কমিটির গুরুত্বপূর্ণ যে কোন পদ সভাপতি/সেক্রেটারি পদে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে।মুক্তার মিয়া অতীতে তাঁর নিজ স্ত্রীকে খুন করা সহ একাধিক খুন-খারাপির কারণে মসজিদের কমিটিসহ কোন মুসল্লীয়ান তার এমন আবদার মেনে নেয়নি।যে কারণে গত রমজান মাসে মুক্তার মিয়া কমিটির বর্তমান সেক্রেটারি আব্দুল কাদির মিয়াকে মারধর করা সহ পর্যায়ক্রমে সকল মুসল্লীয়ানদের সাথে বিভিন্নভাবে খারাপ আচরণ করে আসতে থাকে।যে কারণে গত কয়েক সপ্তাহ ২/৩ জন মুসল্লী ব্যতিত কেউ ওই মসজিদে নামাজ আদায় করতে যায়নি।এ বিষয় নিয়ে এলাকার গন্যমান্য কয়েকজন মুরুব্বীদের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার একটি গ্রাম্য শালিসী বৈঠক হলে সেখানে মুক্তার মিয়া তার সকল ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলে মুসল্লীয়ান ও মুক্তার মিয়ার মাঝে অতীতের বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি হয়।গত শুক্রবার জুমার নামাজ শুরু হওয়ার আগ মুহুর্তে সেক্রেটারি কাদির মিয়া নিস্পত্তির বিষয়টি সকল মুসল্লীয়ানদেরকে অবগত করতে গেলে মুক্তার মিয়া বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে বলে গতকাল যে বিষয়টি নিস্পত্তি করেছিলাম সেটি আমি এখন উড্ড করে নিলাম,এভাবেই বলে মুক্তার মিয়া।তখন পুনরায় মুসল্লীয়ানদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে অনেকেই মসজিদ থেকে নামাজ আদায় না করে বাহির হয়ে যায়।কিন্তু ভিতরে থাকা কয়েকজনের মধ্যে কমিটির সহ-সভাপতি মুসলেহ উদ্দিনের সাথে মুক্তার মিয়া তার কিছু খারাপ প্রকৃতি স্বজনদের নিয়ে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাথে নিয়ে আসা ছুরি দিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে সেখান থেকে বীরদর্পে চলে যায় মুক্তার মিয়া,বললেন মসজিদের মুসল্লীয়ান।ছুরিকাঘাতের সাথে সাথেই স্থানীয় মুসল্লীয়ানরা আহত মুসলেহ উদ্দিনকে উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা সাস্থ্য কপপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার করেন।এ ব্যাপারে এখনও কোন মামলা হয়নি তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply