শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বানিয়াচংয়ে কুশিয়ারা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ॥ সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আমি সাংবাদিক ছিলাম।আমাকে সাংবাদিকতা শিখাতে হবেনা। চুনারুঘাটে ভোক্তা’র পরিচালক দেবানন্দ। শহরতলীর আলম বাজারে স্ট্যান্ড দখল নিয়ে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত বানিয়াচঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ॥ আহত অর্ধশত চুনারুঘাটে ছাত্র আন্দোলনে হামলায় গ্রেফতার আব্দুল কদ্দুসকে কারাগারে প্রেরণ আজমিরীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ৫০ ॥ আটক ৩ সুরমা চা-বাগানে ৩০ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক মাধবপুর সীমান্তে আটক ৬ অনুপ্রবেশকারী জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে চুনারুঘাটে নিহত রাজু মিয়ার বাড়ি পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার

জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সাফল্য স্বল্পমেয়াদি : এ এন এম মুনিরুজ্জামান

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৭ জুলাই, ২০১৮
  • ৯৮১ বার পঠিত

হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর সরকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এই ভূমিকা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

এম মুনিরুজ্জামান: সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা স্বল্প মেয়াদে কার্যকর। আমরা দেখেছি, হোলি আর্টিজানের ঘটনার পর অনেক জঙ্গি ধরা পড়েছে। অনেকে গোলাগুলিতে মারা পড়েছে। গত দেড় বছরে বড় কোনো হামলার ঘটনা বা জঙ্গিবাদী তৎপরতা ঘটেনি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ট্যাকটিক্যাল অভিযানে যে ফল পাওয়া যায়, তা সাময়িক। আর এ ধরনের অভিযানের ক্ষেত্রে অনেক সময় আইনের শাসন মেনে চলা হয়নি। যেদিকে নজর থাকা উচিত।

প্রথম আলো: সরকারের জঙ্গিবিরোধী অভিযান ও এর ফলে জঙ্গিদের তৎপরতা কমে আসার বিষয়টিকে কি সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করছেন না?

এম মুনিরুজ্জামান: নিশ্চয়ই সাফল্য, তবে স্বল্পমেয়াদি। মনে রাখতে হবে যে জঙ্গিবাদের সমস্যা কোনো সাময়িক সমস্যা নয়। এটা একটা গভীর ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। এটা মোকাবিলায় কৌশলগত উদ্যোগ দরকার। আমরা একে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি, সমাধানের পথ ধরছি না। এ জন্য জাতীয় কৌশল বা নীতি গ্রহণ ও সে অনুযায়ী উদ্যোগ প্রয়োজন।

প্রথম আলো: দেশে জঙ্গিবাদের বিপদ কিছু কমেছে কি?

এম মুনিরুজ্জামান: জঙ্গিদের বাহ্যিক বা অপারেশনাল কর্মকাণ্ড কমেছে, কিন্তু বীজ এখনো রয়ে গেছে। আমরা দেখছি, প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিদের আস্তানায় অভিযান হচ্ছে, গ্রেপ্তার ও অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার হচ্ছে। বছরখানেক আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের কাছে জঙ্গি হামলার একটি ঘটনা শেষ সময়ে নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। অথচ সেখানে বিপুল আয়োজন ছিল। জঙ্গিরা সফল হলে বড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত। ফলে বোঝা যায়, তাদের কর্মকাণ্ড থেমে যায়নি। পুলিশি অভিযানের মুখে তারা হয়তো এখন অপারেশন চালাতে পারছে না বা আমরা বাইরে থেকে তাদের কর্মকাণ্ড দেখতে পারছি না।

প্রথম আলো: জঙ্গি সংগঠনগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মারা গেছে, সংগঠনগুলো কি দুর্বল হয়ে যায়নি?

এম মুনিরুজ্জামান: জঙ্গি সংগঠনগুলো সাংগঠনিকভাবে জীবিত রয়েছে। আমরা দেখলাম, জঙ্গি সংগঠন জেএমবি এখন শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতেও তাদের চ্যাপ্টার খুলেছে, জেএমআই। সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হলে তারা এই কাজ পারত না। তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা রয়েছে, কিন্তু এখন হয়তো পুলিশের অভিযানের মুখে বা নিজেদের সিদ্ধান্তে তারা তাদের কর্মকাণ্ড স্থগিত রেখেছে। এ ধরনের শক্তি সাধারণত সব সময়ই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। যখনই সুযোগ পাবে, তখনই কোনো ঘটনা ঘটাবে বা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জে একজন প্রকাশক খুন হয়েছেন।
একসময়ের ব্লগার ও মুক্তচিন্তার লোকদের হত্যার যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, এই ঘটনাকে তারই ধারাবাহিকতা হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com