অনলাইন ডেস্কঃ বাড়ির ঠিকানা কিংবা বাজারের হিসাব, জরুরি কোনো কাজ এইমাত্র করবেন ভেবেও ভুলে যাচ্ছেন- এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে প্রবীণরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন। যার জেরে খিটখিটে এবং অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন তারা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগের নাম স্মৃতিভ্রংশ (ডিমেনশিয়া)। ভুক্তভোগী অনেকে হলেও এই রোগের চিকিৎসার সুযোগ কিন্তু বিশেষ নেই। নারীদের চেয়ে পুরুষরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কের কাজ কমে গেলে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিন্তু কী কী কারণে এই সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে সে নিয়েও কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই। এই সমস্যায় আক্রান্তদের কেউ হৃদ্রোগের সমস্যায়, আবার কেউ স্নায়ুর সমস্যায় আক্রান্ত থাকেন। কিন্তু এই সমস্যার সঙ্গে কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা জড়িত কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট ধারণা নেই। ভারতে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সরকারীভাবে গবেষণা শুরু হয়েছে।
‘ডায়াগনস্টিক অ্যাসেসমেন্ট অব ডিমেনশিয়া’ (ডিএডি) নামের এই গবেষণার কাজে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন, সাইকায়াট্রি এবং স্নায়ু বিভাগের চিকিৎসকেরা যুক্ত রয়েছেন। এই গবেষণার জন্য ৩০০০ মানুষকে নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জীবনযাপনের ধারা, শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করা হবে। নির্বাচিতদের মধ্যে যাদের স্মৃতিভ্রংশ হয়েছে, তাদের ও অন্যদের তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে উপসর্গের রূপরেখা তৈরি করা হবে।
Leave a Reply