হবিগঞ্জ প্রতিনিধি॥ ‘আমরা পরিবারের মানুষের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেয়ার জন্য রোদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চালাই। আমরা পরিশ্রম করে আমাদের সন্তানদের পড়ালেখা করানোর স্বপ্ন দেখি। এজন্য চড়া সুদে ঋণ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা কিনেছি। কিন্তু রাস্তায় রিক্সা নিয়ে বের হলে প্রশাসনের লোকজন আমাদের রিক্সা আটকে দেয়। অনেক সময় ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায়। আমরা অবিলম্বে সংসদ সদস্য, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা বন্ধ না করে নাম্বার প্লেইট প্রদানের দাবি জানাই।’ বুধবার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টায় হবিগঞ্জ শহরের আরডি হল প্রাঙ্গণে হবিগঞ্জ জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ফেডারেশনের শ্রমিক সমাবেশ ও কমিটি পরিচিতি অনুষ্ঠানে অটোরিক্সা শ্রমিকরা উল্লিখিত বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা আরো বলেন, ‘হবিগঞ্জ শহরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইককে নাম্বার প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু অটোরিক্সাকে নাম্বার প্লেইট দেয়া হচ্ছে না। এই বৈষম্য বন্ধ করতে হবে।’
হবিগঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা বন্ধ না করা, নাম্বার প্লেইট প্রদানসহ সাত দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত এই শ্রমিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি আ.ক.ম. জহিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক উজ্জল রায়, হবিগঞ্জ যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ। অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সামছুর রহমান, জাফর আলী, বারিক মিয়া, সঞ্জিব আলী, হবিগঞ্জ ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সৈয়দ আজহারুল হক বাকু প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি আ.ক.ম. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘অটোরিক্সা অবৈধ নয়। বরং রাস্তাগুলো যে নিয়মে তৈরি করার উচিত ছিল, তা হয়নি। ময়মনসিংহ শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার নাম্বার প্লেইট দেয়া হয়েছে। হবিগঞ্জেও নাম্বার প্লেইট প্রদান করতে হবে। সমাবেশের পর ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ফেডারেশন হবিগঞ্জ জেলা শাখার ২০২২-২০২৩ এর নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দকে পরিচয় করিয়ে দেন উজ্জল রায়। কমিটিতে মো. শফিকুল ইসলামকে সভাপতি ও ধনু মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
Leave a Reply