ছয় মাসের মধ্যে মাদকের মামলার বিচার শেষ করতে সংসদের চলতি অধিবেশনেই আইনের সংশোধনী আনা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
রবিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের এক সম্পূরক প্রশ্নর উত্তরে এ কথা জানান মন্ত্রী।
নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মাদক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ মাদক মামলার বিচার ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য একটি রায় দিয়েছেন। এ রায় বাস্তবায়নের জন্য আইনের কিছু সংশোধনীর প্রয়োজন। এজন্য সংসদের চলতি অধিবেশনেই মাদক আইনের সংশোধনী আনা হবে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় অনেক সময় সাক্ষীরা আদালতে যেতে পারেন না। সে কারণে সাক্ষীদের অনুপস্থিতিতে কি করা যায়, সাক্ষীরা যাতে হুমকিতে না পরেন, সেজন্য কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, কিছু ফলপ্রসূও হচ্ছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দল হিসেবে জামায়াতের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে বলেও তিনি জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, জামায়াত ১৯৭১ সালে রাজনৈতিকভাবে দৃঢ় ও প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিলো। বর্তমান সরকার সব সময়ই আইনের শাসনে বিশ্বাসী। এই সরকার এ দেশের মাটিতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার রায়ে আদালত জামায়াত দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল মর্মে উল্লেখ করেছে।
‘পরবর্তীতে গতবছর ২৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। দল হিসেবে জামায়াতের বিচার প্রক্রিয়ার জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে পুনরায় ওই সংশোধনী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে এটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা যায়। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যমেই বিষয়টি নিস্পত্তি করা হবে’- বলেন মন্ত্রী
সুত্রঃ দেশ রূপান্তর
Leave a Reply