স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধুলিয়াখাল পুলিশ লাইন সংলগ্ন এলাকা থেকে তানিয়া আক্তার (১৯) নামে এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কি কারণে ওই যুবতীর মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। প্রতিবেশীরা বলছেন, ওই যুবতীকে তারা গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। পরে ওই যুবতীর স্বামীকে খবর দেয়া হলে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তানিয়াকে দেহ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার জানিয়েছেন, মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তানিয়াকে। হবিগঞ্জ পুলিশ লাইনের আরআই রফিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুনেছি ৬ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। ওই যুবতীর স্বামী সফিকুল ইসলাম হবিগঞ্জ পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন। তারা ওই এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। তাদের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায়। তবে তানিয়ার মৃত্যুর কারণ তিনি জানেন না বলে জানান। গতকাল সোমবার বিকেলে পুলিশ লাইন সংলগ্ন এলাকার এক বাসা থেকে তানিয়ার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা তার স্বামীকে খবর দেন। পরে ঝুলন্ত অবস্থায় তানিয়ার দেহ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের এক নারী চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা ওই ডাক্তার জানান, মৃত অবস্থায় তানিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর কারন জানা যাবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply