শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বাহুবলে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক গুরুতর আহত ॥ সিলেট প্রেরণ চাকুরীতে কোটা বাতিলের দাবিতে শায়েস্তাগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাড়াশি অভিযান ॥ বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই টমটমসহ গ্রেফতার ৫ বাহুবলে রাস্তার পাশ থেকে এক নবজাতক উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের আয়া মায়া রাণীর অপচিকিৎসায় প্রসূতি মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ লাখাই-হবিগঞ্জ সড়কের ব্রিজের নীচ থেকে বৃদ্ধের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার নবীগঞ্জে ৩টি ওয়ারেন্টে মামলার ৬ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী এস এম আলী গ্রেফতার চুনারুঘাটে ডিবি’র পৃথক অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ॥ ৪৫ কেজি গাঁজাসহ প্রাইভেটকার ও সিএনজি গাড়ী আটক হবিগঞ্জের আলোচিত সানজানা শিরিনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান। সুতাং ব্রীজে পিকআপ ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ ॥ মহিলা নিহত

হবিগঞ্জে অসহায় বৃদ্ধার দেখভালের দায়িত্ব নিলেন এসপি মোহাম্মদ উল্ল্যা

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৫৬ বার পঠিত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : সদর হাসপাতাল সংলগ্ন অনন্তপুর এলাকায় থাকেন মরিয়ম চান, তার বয়স ১০৫ বছর। বয়সের ভারে অনেক কিছুই মনে করতে পারেন না। এমনকি মনে করতে পারছিলেন না নিজের বাবার বাড়ি কোথায় । ২০ বছর আগে স্বামী মারা গেছেন। নেই কোনো সন্তানাদি । নেই নিজের কোনো বাড়িঘরও। তাই স্বামীর মৃত্যুর পরই চলে আসেন জেলা সদরে। শুরু থেকেই সদর হাসপাতালের সামনে দিনভর ভিক্ষা করেন তিনি। আর তখন থেকেই বৃদ্ধার কষ্ট দেখে নিজে গৃহপরিচারিকার কাজ করে তাকে লালন করছেন আয়েশা খাতুন। মায়ের মমতায় তিনি আগলে রেখেছেন এ বৃদ্ধাকে। অবশেষে এ বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী। বুধবার (২৮ এপ্রিল) বৃদ্ধা মরিয়মকে দেয়া হয়েছে রমজান মাসের খাবার, চলাচলের জন্য হুইল চেয়ার। আর তাকে সবসময় খাবার দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তারা। বৃদ্ধা মরিয়ম চান জানান, তার বাড়ি কোথায় ভুলে গেছেন। মনে করতে পারছেন না। বাবার বাড়িও মনে নেই। তিনি বলেন, ‘আয়েশা আমার মা, আমার মেয়ে।’ এসময় পুলিশ সুপারের হাত টেনে ধরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাবা। আপনাদের ভাল করুন আল্লাহ।

আয়েশা খাতুন জানান, তার স্বামী মতি মিয়া তাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন। তিনি একাই থাকেন। ২০ বছর আগে হাসপাতালের সামনে তাকে ভিক্ষা করতে দেখে মায়া লাগে। এরপর নিজের ঘরে তুলে নেন। তিনি নিজে অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। তারপরও ওই বৃদ্ধার দেখাশুনা করেন। আয়েশা খাতুন বলেন, ‘এতে আমি আনন্দ পাই। তার দেখভাল করে আমার ভালো লাগে। মনের তৃপ্তি পাই।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুক আলী বলেন, ওই বৃদ্ধা যেন আর্থিক অনটনে না পড়েন, খাবার অভাবে যেন তাকে না থাকতে হয় সে বিষয়টি আমরা দেখব। সময়ে সময়ে তার জন্য খাদ্যদ্রব্য পাঠাব। যেহেতু তিনি সদর হাসপাতালের সামনেই ভিক্ষা করেন তাই তার দেখাশোনা করাও আমাদের জন্য বেশ সুবিধা হবে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, তাকে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডাক্তার দেখিয়ে তাকে ওষুধ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি যেন দ্রুত বয়স্ক ভাতার কার্ড পান সে ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমি যতদিন এখানে আছি ততদিন তার দেখভাল করব। সহযোগিতা করে যাব। তাকে চলাচলের জন্য হুইল চেয়ার দিয়েছি। রমজানের জন্য বাজার দিয়েছি।’ এসময় বৃদ্ধা মরিয়ম চানের দেখভাল করার জন্য আয়েশা খাতুনকে ধন্যবাদ জানান পুলিশ সুপার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2019 Prothomsheba
Theme Developed BY ThemesBazar.Com