নুর উদ্দিন সুমন :: জেলার বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের স্নানঘাট মাছ বাজারে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পিরানহা রূপচাঁদা বলে বিক্রির অভিযোগে হারুন মিয়া (৪০) নামে এক আড়ৎদারকে ৫ হাজার টাকা জড়িমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। হারুন মিয়া দক্ষিণ স্নানঘাট এলাকার আসাদুল্লাহর পুত্র। এ সময় (৪০ কেজি) নিষিদ্ধ পিরানহা জব্দ করে ধ্বংস করা হয় । মঙ্গলবার দুপুরে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা তালুকদারের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, এক ঝাঁক পিরানহা মাছ নিমেষেই কঙ্কাল বানিয়ে ফেলতে পারে একজন মানুষকে। পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর মানুষখেকো এ মাছ বহু দেশে উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ। বাংলাদেশেও কয়েক বছর আগে নিষিদ্ধ করা হয় এ মাছ। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপনে চাষ করা হয় পিরানহা। রূপচাঁদা বলে বিক্রি করা হয় বেশি দামে। হবিগঞ্জসহ বাহুবলের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাছ বিক্রেতারা জানান, এইটা পিরানহা মাছ আমরা রূপচাঁদা বলে বিক্রি করি। এটা রঙ দেওয়া মাছ জানি, তবে রঙের যে আইন আছে বা অবৈধ আমরা জানি না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, এ মাছ যেমন মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এটা মানবদেহের চেয়ে পরিবেশের ক্ষতি বেশি করে। আমাদের যে লোকাল পরিবেশ আছে এটার জন্য খুবই ক্ষতিকর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন জানান, এই পিরানহা মাছ কোনোভাবে চাষ করা যাবে না, বিক্রি করা যাবে না। এই পিরানহা মাছ বাজারে এবং হোটেলে বিক্রি করা হয়। পিরানহা মাছ রূপচাঁদা বলে বিক্রিয়ের অপরাধ আমরা পেয়েছি। এই অপরাধ থাকার কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জড়িমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি এই মাছের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বাজারের সকল মাছ ব্যবসায়ীকে অবগত করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতকে সহায়তা করেন উপজেলা মৎস্য অফিস।
Leave a Reply