বাহুবর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ জেলার বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ফয়সলকে গাছে বেধেঁ মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন মামলায় দুই আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২ নভেম্বর বাহুবল থানা পুলিশ সালাউদ্দিন (৫২) ও মঈন উদ্দিন (৪০) কে গ্রেফতার করে একই আদালতে হাজির করেন। আদালত তাঁদেরকে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শফিউল আলম আজাদ জানান, মামলাটি রুজু হয়ে আদালতে আসার পরপরই আসামীগণ আদালতে জামিনের আবেদন করিলে আদালত মঈন উদ্দিন এমরান ও মহিউদ্দিনকে জখমীর মেডিকেল সনদ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আজ মঙ্গলবার মামলার ধার্য তারিখে জখমীর মেডিকেল সনদ হাসপাতাল হতে পাওয়া যায়। মেডিকেল সনদ পর্যালোচনা করে শুনানিক্রমে জামিনপ্রাপ্ত আসামী মঈন উদ্দিন এমরান ও মহিউদ্দিনের জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ বিচারক তাহমিনা হক। একই সাথে মামলায় জাহানারা আক্তার লিপি, মাহফুজা আক্তার লিজা, সাবেক ইউপি সদস্য কুতুব আলী, সালেহ উদ্দিন, আব্দুল হান্নান, আশিক মিয়া, বাহাউদ্দিনের জামিন বহাল রাখেন। আলোচিত মামলায় শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট শফিউল আলম আজাদ, বিবাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এডভোকেট জালাল উদ্দিন । প্রসঙ্গত, গত ৩০ অক্টোবর দিবাগত রাতে উপজেলার লামাতাসী ইউনিয়নের দ্বিমুড়া কুয়েত প্রবাসী আব্দুল হাইর বাড়িতে কলেজ ছাত্রকে চোর আখ্যা দিয়ে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয় । গত ১ নভেম্বর সকালে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সারাদেশ জুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক ফয়সলকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করছে। এ সময় ফয়সল বাঁচার জন্য আকুতি এবং বার বার আল্লাহ অল্লাহ বলে চিৎকার করছিল। কিন্তু এরপরও চলে বর্বর নির্যাতন । পরে ২ নভেম্বর ফয়সলের মা বাদী হয়ে দ্বিমুড়া গ্রামের আব্দুল হাইর স্ত্রী জাহানারা আক্তার লিপি ও মেয়ে লিজাকে আসামী করে ১০জনের নাম উল্লেখ করে বাহুবল থানায় মামলা করেন। তবে ঘটনার মুল নায়ক ফখরুলকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
Leave a Reply