নিজস্ব প্রতিনিধি : ২২ নবেম্বর গভীর রাতে হবিগঞ্জের বাহুবলের ফদ্রখলায় গৃহবধূ তানিয়া আক্তারকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করা হয়। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ঘটনার ২০ দিন অতিবাহিত হলো। এ ঘটনায় ২৫ নবেম্বর তানিয়ার মা রুনা আক্তার বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক র্যাব অভিযান চালিয়ে নিহত তানিয়ার শ্বশুর হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু বাকী আসামীরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিহত তানিয়ার মা রুনা আক্তার সাংবাদিকের কাছে বলেন, মামলার প্রধান আসামী জানে আলমকে কেন ধরা হচ্ছে না। তাকে ধরা না হলে মনে শান্তি পাচ্ছি না। কারণ এ পাষন্ডই আমার তানিয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। ব্যর্থ হয়ে সে আমার নিষ্পাপ মেয়েকে হত্যা করেছে। এ কাজে সহযোগীতা করেছে তার পরিবারের লোকজন। তাই আমি এসব ঘাতকদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে প্রকাশ্যে ফাঁসি দাবী করছি। বাহুবল উপজেলার মির্জাটুলা গ্রামের প্রবাসী নুরুল ইসলামের স্ত্রী রুনা আক্তার বলেন, প্রায় ৩ বছর পূর্বে একই উপজেলার ফদ্রখলা গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে প্রবাসী শাহ আলমের সাথে তার কন্যা তানিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এদিকে স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে তানিয়ার উপর চালানো হতো অমানবিক নির্যাতন। শত কষ্টসহ্য করেও তানিয়া স্বামীর সংসার করে আসছিল। অবশেষে দেবর জানে আলমের কুনজর পড়ে আমার মেয়ের উপর। সে তানিয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা করে। তানিয়ার আমার শোকে মূহ্যমান। বর্তমানে তার শিশু পুত্রকে নিয়ে বিরাট সমস্যায় পড়েছি। এ শিশু শুধু তার মাকে খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু সে জানে না তার মা অন্ধকার কবরে রয়েছে।
তানিয়ার মামা আব্দুর রহিম জানান, আমার ভাগনি তানিয়ার দিকে কু-দৃষ্টি পড়ে লম্পট জানে আলমের। প্রায় সময় তানিয়াকে উত্যক্ত করত জানে আলম। উত্যক্তর বিষয়টি তানিয়া তার শশুর শাশুড়ি, বউ, বোনকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনারদিন রাতে তাকে জোড়পুর্বক ধর্ষন করতে তার শয়নকক্ষে গিয়ে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এ সময় তানিয়া শোরচিৎকার দিলে পরিবারের সবাই এসে লম্পটের বিচার না করে তানিয়াকে নির্যাতন করে হত্যা করে। তিনি এ হত্যার আসামীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবী করেন । বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তানিয়া হত্যা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ মামলার বাকী আসামীদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর আছে।
Leave a Reply