নুর উদ্দিন সুমন : জেলার চুনারুঘাট আমু চা-বাগানে মাদক মুক্ত পরিবারের সন্ধ্যানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। তিনি বলেন, আমার স্বপন বাস্তবায়ন করতে চাই, মাদক মুক্ত চা- বাগান চাই এতে চা-বাগানের সচেতনদের সহযোগীতা কামনা করে পুলিশ সুপার শ্রমিকদের উদ্যেশ্যে বলেন, মাদক পাচার ও সেবন বন্ধ করতে শ্রমিকদের মাঝে আরও সচেতনতার প্রয়োজন । এক সময় বাগানের লোকজন খুবই অসচেতন ছিল। এখন সবাই সেচতন ঘরে ঘরে শিক্ষিত, প্রায় ঘরে ডাক্তার, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি আছে।এর মুল কারণ মাদক সেবন নেই। তিনি মাদকের কুফল আর সুফল ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন গেল বছর চা-বাগানের ৩ জন ছেলে মেয়ে পুলিশে আমার মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে। তারা খুবই মেধাবী তাদের মেধার ভিত্তিতে যোগ্যতায় চাকুরী পেয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞেস করিলে তারা জানায় নেপথ্য কাহিনি মাদক সেবন করিনাই। আপনাদের মাঝে যে পরিবারগুলো মাদকমুক্ত থাকবে তাদের সন্তানরা সুস্বাস্থ্য ও মেধাবী হবে। আর সুস্থ ও মেধাবী সন্তান বড় হয়ে একদিন সরকারি-বেসরকারি চাকুরিসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ পদে যোগদান করে আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। তিনি আরও বলেন, মাদক যে গ্রহন করে তার ঘরে তার বউ থাকবেনা, পরিবারে অশান্তি বিরাজ করবে শান্তি থাকবেনা। যারা মাদক সেবন করে তাদের চেহারা দেখেলেই চেনা যায়। মাদকমুক্ত দেশ বিনির্মাণে চা-বাগানকে মাদক মুক্ত করতে চাই। চা-শ্রমিকদের মাঝে মাদকমুক্ত পরিবার যত বাড়বে ততই জোরদার হবে মাদকমুক্ত চা-বাগান গড়ার আন্দোলন।
মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) বিকালে চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের আমু চা বাগানে চুনারুঘাট থানা আয়োজিত মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক বিট সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লা বিপিএম পিপিএম উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। মূলত তিনি চা-বাগান শ্রমিকদেরকে মাদক থেকে দূরে রাখতেই এই উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে ২৪টি বাগানে এরকম কর্মসূচি করা হবে। চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আলী আশরাফ এর সভাপতিত্বে ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) চম্পক দাম এর পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু, আমু চা বাগানের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম, বিট অফিসার এসআই এআই সম্রাট, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজু প্রমুখ। উল্লেখ্য, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লা বিপিএম পিপিএম জেলার ২৪টি চা বাগানকে মাদকমুক্ত করতে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমু চা বাগানের মাদকমুক্ত ২১টি পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ক্রেস্ট, ও শতাধিক ছাত্রছাত্রীদেরকে খাতা-কলমসহ বিভিন্ন পুরস্কার তুলে দিয়ে মাদকমুক্ত পরিবার গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেন।
Leave a Reply