নুর উদ্দিন সুমন : সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও চা বাগান সংলগ্ন চুনারুঘাট উপজেলার দারাগাও গ্রাম ক্ষতবিক্ষত। দিনের-পর-দিন বালু খেকুদের লাগামহীন তাণ্ডবে খোদ প্রশাসন তটস্থ। গ্রাম যেন পুকুরে পরিণত হয়ে গেছে। বালুখেকুরা চরম বেপরোয়া। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকার নিরীহ মানুষ। ওই চক্রটির বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়না কেহ। প্রতিবাদ করলে দেয়া হয় মামলা হামলার হুমকী। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহম্মদ কামরুল হাসানের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন বারবার অভিযান পরিচালনা করলেও বালুখেকুরা অভিযানের পর পরই পূনরায় বালু উত্তোলন শুরু করেন বলে এলাবাসী জানান।
এমন বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন অবৈধ বালু খেকুদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন । এরই প্রেক্ষিতে আজ বুধবার (২৮অক্টোবর) চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সত্যজিত রায় দাশ এর নেতৃত্বে দিনব্যাপী সহকারী কমিশনার ভূমি মিলটন চন্দ্র পাল, র্যাব ৯ এর কম্পানী কমান্ডার (এএসপি) আফসান-আল-আলম ও উপ সহকারী পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানসহ চুনারুঘাট থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ৪৭টি ডেজার মিশিন ও ৫ হাজার মিটার পাইপ বিনষ্ট করেন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে চক্রটির মুল গডফাদাররা পালিয়ে যায়। সেই সময় ৪ জন বালুখেকুকে হাতেনাতে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে দারাগাঁও গ্রামের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক দুইবারের সভাপতি তৈয়ব আলী ওরফে পুতুল এর ছেলে উপজেলা যুবলীগের সাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাউছার আহমেদ (৩৮), মৃত হাজ্বী আব্দুল বারিকের ছেলে শেখ সেলিম (৪৭) , আব্দুর নুরের ছেলে মো: রহম আলী (৪৯) কে ১বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং লাখাই উপজেলার সুজাতপুর গ্রামের আমিন মিয়ার ছেলে খালিকুজ্জামান(৫৫)কে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ।
পাশাপাশি ৫০ হাজার ঘনফুট বালু ও ৫ টি ট্রাক্টর জব্দ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেয়া হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ বলেন, অবৈধ বালু ব্যবসার সাথে যারা জড়িত পর্যায়ক্রমে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply