ডেস্কঃ জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ট্রেন ভ্রমণের বাধ্যতামূলক সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। তবে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে পরিবারের সর্বোচ্চ চার সদস্যের টিকিট কেনা ও ভ্রমণ করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেনে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ভ্রমণের কথা বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক সঙ্গে রাখার বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে। তবে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে পরিবারের সর্বোচ্চ চার সদস্যের টিকিট কেনা ও ট্রেন ভ্রমণ করা যাবে।
উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সরকারি ছুটি ঘোষণা হলে অন্যান্য যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। পরিস্থিতির সঙ্গে জনজীবন কিছুটা খাপ খেয়ে উঠতেই গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গত রোববার (১৬ আগস্ট) আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেনসহ মোট ১৩ জোড়া ট্রেন নতুন করে চলাচল শুরু করেছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এখন ৩০ জোড়া ট্রেন চলছে। পর্যায়ক্রমে সব রুটের যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। যাত্রার দিনসহ পাঁচ দিন পূর্বে আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে সব ধরনের স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে।
Leave a Reply