তিনি বলেন, বিশেষ করে লক্ষ্য রাখব তারা কেন কর্মস্থলে থাকেন না। কারণগুলো বের করার চেষ্টা করা হবে। তাদের যদি আবাসনের সমস্যা থাকে, আমরা তা দেয়ার চেষ্টা করব।
সোমবার শিপ আইচি মেডিকেল সার্ভিস আয়োজিত এক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরা যদি কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত না থাকেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সে ব্যবস্থা বিভিন্ন রকমের হতে পারে। তার মধ্যে ওএসডি করা কিংবা আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চিকিৎসকরা ভালো কাজ করেন। তবে যারা অন্যায় করেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের মনিটরিংয়ের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিভাগীয় পর্যায়ে সেল গঠন করা হবে। ওই টিম প্রতিদিন প্রতিটি হাসপাতাল মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দেখবে চিকিৎসকের উপস্থিতি কেমন, যন্ত্রপাতি ও সেবা ভালো আছে কিনা। আর এর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘বাংলাদেশে অসংক্রামক ব্যাধি বৃদ্ধি, প্রতিকার ও প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জাপান ও বাংলাদেশের সম্ভাব্য সহযোগিতা’শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত এখনো সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়নি। দেশের ৬০ শতাংশের বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক রোগ। এ কারণে আমরা আমাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার কর্মপরিকল্পনা পরিবর্তন করেছি। আমরা বিশেষায়িত হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট ছাড়াও জেলা পর্যায়ে এ বিষয়ে সেবা চালু করছি।
সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সফল উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডায়রিয়া, পোলিওর মতো সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে আমরা সফলতা অর্জন করেছি। এখন আমাদের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, আমরা তা করছি। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার, কিডনির রোগগুলো সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা অর্জন করতে হবে।
বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যয় ব্যালান্স রাখার অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের চিকিৎসাসেবার অর্ধেকের বেশি সেবা দেয় বেসরকারি হাসপাতাল। কিন্তু এক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচের একটি অভিযোগ রয়েছে। তাই খরচটা ব্যালান্স করার অনুরোধ জানাচ্ছি। আর চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনুরোধ জানাব আপনারা এমনভাবে চিকিৎসাসেবা দেবেন, যাতে করে দেশের মানুষ চিকিৎসা নিতে ভারতে কিংবা বিশ্বের অন্যান্য দেশে না যায়।
শিপ আইচি মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিরো ইউকি কোবায়াশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, জাইকার বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি হিতোশি হিরাতা, জাপানের অর্থনীতি বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিচালক কেনতারো কিশিমাতো, শিপ আইচি মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।
Leave a Reply