আওয়ামী লীগের ওই কেন্দ্রীয় নেতারা আরও বলেন, কোনো কোনো উপজেলা থেকে টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রে নাম পাঠাচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। কোনো কোনো উপজেলা থেকে মাত্র একজন প্রার্থীর নাম পাঠানো হচ্ছে। সেগুলো যাচাইবাছাই করছে কেন্দ্র। মাত্র একজনের নাম কেন এলো, সেখানে কোনো লেনদেন বা অনিয়ম হয়েছে কি না- তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, গত উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়া ও ‘অনুগতদের’ নাম পাঠানোর মতো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কেন্দ্রের হাতে রয়েছে।
বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সম্পাদকম-লীর নেতারা দেশ রূপান্তরকে আরও বলেন, এবার প্রার্থী হিসেবে যোগ্য কিন্তু তৃণমূল থেকে নাম পাঠানো হয়নি- এমন প্রার্থীকে অবশ্যই লিখিত অভিযোগ কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। ওই অভিযোগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের দপ্তরে, কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় থাকা নির্বাচনী দপ্তরে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছেও পৌঁছাতে হবে। পরে ওই প্রার্থীর অভিযোগ যাচাইবাছাই করা হবে। সত্যতা পেলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্ট এলাকার চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ফারুক খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা পাঠাতে তৃণমূল নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কারও প্রভাব থাকলে, কেউ কোনো অনিয়ম করলে এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে কেন্দ্র অবশ্যই হস্তক্ষেপ করবে।
গত দুই দিন আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ও নেতাদের ব্যবসায়িক কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, অনেক উপজেলা থেকে ‘বঞ্চিত প্রার্থীরা’ আসছেন। তাদের বেশিরভাগের অভিযোগ, স্থানীয় সংসদ সদস্যের কারণে তৃণমূল থেকে পাঠানো হচ্ছে না তাদের নাম। মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীদের এসব অভিযোগের জবাবে কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, আপনারা লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগ সত্য হলে নাম না এলেও মনোনয়ন পাওয়া যাবে। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তারা আরও বলছেন, ত্যাগী নেতারাই প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। এক্ষেত্রে ‘নয়ছয়’ করে কাউকে বাদ দেওয়ার অপচেষ্টা সফল হতে দেবেন না শেখ হাসিনা।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য অনধিক তিন প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠাতে তৃণমূলকে দায়িত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সে অনুযায়ী নাম আসতে শুরু করেছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, নাম বাছাইয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রভাব থাকায় তৃণমূলের কমিটি সঠিক কাজটি করতে পারছে না। ফলে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঠিক নামগুলো কেন্দ্রে আসছে না।
সুত্রঃ দেশ রূপান্তর
Leave a Reply